বিএনপি সব সময় প্রযুক্তি ব্যবহারের বিরোধীতা করে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১:৩৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২০

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি সব সময়ই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিরোধীতা করে। তাই তারা আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ইলেক্ট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্তেরও বিরোধীতা করছে।

তথ্যমন্ত্রী আজ তার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

ড.হাছান বলেন,‘বিএনপি বুঝতে পেরেছে দেশবাসী আর তাদের সাথে নেই। তাই তারা সব সময়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।’

মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইভিএম ব্যবহৃত হয়। ‘কিন্তু আমি জানি না বিএনপি কেন সব সময়ই এর ব্যবহারের বিরোধীতা করে। শুধু ইভিএমই নয়,এমনকি ব্যালট পেপারে নির্বাচন অনুষ্ঠানেরও বিরোধী। আসলে, তারা নির্বাচনে তাদের নিশ্চিত পরাজয়ের বিষয়টি বুঝতে পেরেই এমনটা করছে।’

ড.হাছান বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল আনার প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছিলেন। ‘পরে বিপুল অথের্র বিনিময়ে আমরা সাবমেরিন ক্যাবল ক্রয় করি।’

মন্ত্রী বলেন,তাদের (বিএনপি) বিবৃতিতে বুঝা যায় তারা আসন্ন নির্বাচনে পরাজিত হবে। ‘তাদের মুল লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করা।’

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও তার মুক্তি নিয়ে ড. কামাল হোসেনের এক মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিনি (ড. কামাল) যে কোন ইস্যুতেই সংবিধানকে টেনে আনেন।

তিনি বলেন, শুধু ড. কামাল হোসেনই নন, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যগত ইস্যুতে, বিএনপিও অসুস্থ্য-রাজনীতি করে আসছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একমাত্র বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বেগম জিয়ার মুক্তি সম্ভব। এ ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। খালেদার মুক্তির ব্যাপারে সরকারের আইনগত কোন এক্তিয়ার নেই।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নিয়ে বরাবরই অসুস্থ্য রাজনীতি করে আসছে। বস্তুত, সরকার তাকে সর্বোত্তম চিকিৎসা দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

ড.হাছান বলেন, খালেদা জিয়াকে দেশের সর্বোচ্চ মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা চিকিৎসা করছেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি তার স্বাস্থ্য নিয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাকে বলেছেন খালেদা জিয়া বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভূগছেন। পাশাপাশি তার হাঁটু ও কোমরে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাথা আছে। চিকিৎসকরা তাকে সর্বোত্তম চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছেন।’

 

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বছরকে ধারাবাহিক সাফল্যের আরো একবছর বলে অভিহিত করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। সেই সাথে তিনি বলেন, নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশের অগ্রগতি আরো বেশি হতো।

তথ্য মন্ত্রী বলেন, ‘গতবছরের ৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে জনগণের রায় নিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এদিন টানা তৃতীয়বার এবং দেশে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। একইসাথে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ শপথ গ্রহণ করেছিলেন। সেই হিসেবে সরকারের আজকে একবছর পূর্তি।’

দশ বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে গতবছরও বাংলাদেশের জন্য আরেকটি সাফল্যের বছর ছিল, উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ২০০৯ সালের দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে, ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই অভিযাত্রায় বাংলাদেশ এখন আর স্বল্পোন্নত নয়, ইতিমধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন আর খাদ্য ঘাটতির দেশ নয়, খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

ড. হাছান বলেন, গত অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৮.১৫ শতাংশ, যেটি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। একইসাথে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ শতাংশের নিচে, এবং গত ১১ বছরে পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্রসমূহের যদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যোগফল নেয়া হয় তাহলে, বাংলাদেশে গত ১১ বছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। জাতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই অর্জন জাতিকে লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে, স্বপ্ন পূরণের অভিযাত্রা দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলার স্বাক্ষর।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় যেটি ২০০৮ সালে ছিল ৬শ’ ডলার, সেটি গত বছর প্রায় ২০০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। প্রবাসী আয় ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলারে যা আগের বছর ছিল ১ হাজার ৫৫৩ কোটি ডলার। আজকে বাংলাদেশ সমস্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে পাকিস্তানকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সাফল্য সেখানেই প