বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কর্মী নিহতের ঘটনায় সাবেক এমপিসহ ৮ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত: ৩:১৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও একজন নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক এক সংসদ সদস্যসহ (এমপি) দলটির আট নেতাকে সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার (৬ এপ্রিল) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন- বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মানিক এবং সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক, উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, কালুপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামছুল হক এবং বিষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া।

একইভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বদরগঞ্জ পৌর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সুমন সরদার ও যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক কয়েলকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার বদরগঞ্জে ভাড়াটিয়া ও দোকান মালিকের দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লাভলু মিয়া নামে এক বিএনপিকর্মী নিহত হন। এই ঘটনায় আহত হয় অন্তত ১৫ জন। সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির তিন নেতার বিরুদ্ধে দখলদারিত্বের অভিযোগ এনে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর চিঠি দেয় রংপুর জেলা বিএনপি।

অভিযুক্ত ওই তিন নেতা হলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকার, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক এবং উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মানিক।

রংপুর জেলা বিএনপির দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত মো. হারুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে জানানো হয়, দায়িত্বশীল পদে থাকার পরেও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দখলদারিত্ব ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিসহ তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। যার প্রমাণ জেলা বিএনপির কাছে আছে এবং উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।