বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন উপদেষ্টা আসিফ

প্রকাশিত: ৩:১৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, ফেলানীর ভাই-বোনের পড়াশোনা ও কর্মসংস্থানের দায়িত্ব নিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এছাড়া পোস্টের ছবিতে দেখা যায়, উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে ফেলানীর মা-বাবা ও ভাই উপস্থিত রয়েছেন।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বাবার সাথে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন। গুলিবিদ্ধ ফেলানীর মরদেহ কাঁটাতারের বেড়া ওপর প্রায় চার পড়েছিল।

ঘটনার দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ কোর্টে শুরু হয় এ হত্যাকাণ্ডের বিচার। ফেলানীর বাবা ও মামার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে খালাস দেওয়া হয়। রায় প্রত্যাখান করে পুনরায় বিচার দাবির পর দ্বিতীয় দফায় তাকে দেওয়া হয় খালাস। পরে ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ ফেলানীর বাবার পক্ষে দেশটির সুপ্রীম কোর্টে রিট পিটিশন করে। এরপর বারবার শুনানির তারিখ পিছিয়ে সবশেষ ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি নতুন দিন ধার্য হলেও, তা আর হয়নি।