বিক্ষোভে উত্তাল সারা দেশ

প্রকাশিত: ৪:২৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফিলিস্তিনের ওপর দখলদার ইসরায়েলের নির্মম হামলার প্রতিবাদ ও গাজাবাসীর ডাকা হরতালের সমর্থনে সারা দেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ করা হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে সারা দেশে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেয়। বিক্ষোভ-সমাবেশে উত্তাল হয়ে উঠেছে সারা দেশ।

ময়মনসিংহ

ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহ। এ সময় ‘ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে নগরীর সবকটি রাজপথ।

সোমবার দুপুরে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির অংশ হিসাবে এ বিক্ষোভ পালন করেন নগরীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজসহ ধর্মপ্রাণ তৌহিদি জনতা ও বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন।

এর আগে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও স্কুল, কলেজ থেকে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে টাউন হল মোড়ে এসে জমায়েত হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ করে তৌহিদি জনতা। এতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ নারী, পুরুষ ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গাজায় নিরীহ শিশু, নারী এবং সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংসতা চালানো হচ্ছে। বর্বর এই হামলায় পাথির মতো মরছে মানুষ। কিন্তু জাতিসংঘসহ বিশ্ব মোড়লরা এ নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করছে না। আমরা এই মানবাধিকার লংঘনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ইসরায়েলের বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে এখনই সময় বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়কে এক হয়ে ফিলিস্তিন স্বাধীন করার। অন্যথায় ভূলুন্ঠিত হবে বিশ্ব মানবতা।

শরীয়তপুর

দখলদার ইসরাইল কর্তৃক নিরীহ ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে শরীয়তপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে শহরের উত্তর বাজার থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইদ্রিস আলী কাশেমীর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি মাওলানা সাব্বির আহমেদ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, নিরীহ ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় নারী, শিশু, বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাচ্ছে না। বছরের পর বছর এমন বর্বরোচিত হামলা হলেও জাতিসংঘসহ বিশ্ব মোড়লরা চুপচাপ রয়েছেন। বিশ্ব বিবেকের এমন নীরবতা পৃথিবীর সকল মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। যদি জাতিসংঘ ইসরায়েলের এই হামলা বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ না করে তবে বিশ্ব মুসলিম জিহাদ করে ইসরায়েলকে সমুচিত জবাব দেবে। বক্তারা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে জাগ্রত হওয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বানও জানান।

নড়াইল

গাজায় নির্বিচারে মুসলমানদেরকে গণহত্যার প্রতিবাদে নড়াইলে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটি নড়াইল পুরাতন বাস টার্মিনাল মুক্ত মঞ্চ এলাকা থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেস ক্লাব চত্বরে শেষ হয়। এ সময় সড়কের দুই পাশে যানজট সৃষ্টি হয়।

এ সময় বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ভিক্টোরিয়া কলেজ শাখার সভাপতি আল শাহরিয়া আমিন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ইমাম হাসান সেলিম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মখ্যপাত্র নুসরাত জাহান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নওয়াব মোল্যা প্রমুখ।

বাগেরহাট

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাগেরহাট। সোমবার বেলা ১১টায় বাগেরহাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ‘জিহাদ জিহাদ জিহাদ চাই, জিহাদ করে বাঁচতে চাই, ফিলিস্তিনে হামলা কেন? জাতিসংঘ জবাব চাই, বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো, নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন চাই, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ব বিবেক আজ নির্বিকার। কোথায় সেই মানবাধিকার? যেখানে শিশু, নারী, সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, সেখানে জাতিসংঘসহ বিশ্বশক্তি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

জয়পুরহাট

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে জয়পুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা শহরের শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

জয়পুরহাট জেলাবাসী ও ছাত্র জনতার ব্যানারে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিরো পয়েন্টে এসে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।

এ সময় তারা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার, ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘ বিচার চাই, জিহাদ জিহাদ চাই, জিহাদ করে বাঁচতে চাই, ইউ হু আই হু, প্যালেস্টাইন প্যালেস্টাইন, ইসরায়েলি পণ্য বয়কট চাই, বয়কট চাই, জেগেছেরে জেগেছে, মুসলিম বিশ্ব জেগেছে, ইজরায়েলের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

পরে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জয়পুরহাট জেলা শাখার আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ, সদস্য সচিব মুবাশীর আলী শিহাব, সিনিয়র যুগ্ম সচিব নিয়ামুর রহমান নিবিড়, যুগ্ম সদস্য সচিব মোবাশ্বের হোসেন, সংগঠক ফাহিম ফয়সাল রাফি, সাজিনসহ প্রমুখ।

কুষ্টিয়া

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ হয়েছে। সোমবার হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি এনএস রোডের কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজে সামনে থেকে শুরু হয়ে চৌড়হাস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর তারা সেখানে অবস্থান করেন এবং বক্তব্য দেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।

বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজার হাজার মানুষ এ বিক্ষোভে অংশ নেয়। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ফিলিস্তিনের ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নৃশংস হামলা ও গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিক্ষোভকারীরা। একইসঙ্গে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী নৃশংস হামলা ও গণহত্যা চালাচ্ছে। গাজা ও রাফা সীমান্তে অসংখ্য ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে। এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। অথচ ফিলিস্তিনে এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্ব নীরব ভূমিকা পালন করছে।

নওগাঁ

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইজরায়েল কর্তৃক গণহত্যা এবং বিশ্বব্যাপী ডাকা হরতালের সমর্থনে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ করেছেন নওগাঁ সরকারি কলেজ এবং নওগাঁ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা শহিদ ফাহমিন চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কলেজ চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে শিক্ষার্থীরা সেখানে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, নেতানিয়াহুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে, স্টপ জেনোসাইডসহ নানা স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও অংশগ্রহণ করেন।

দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের সামনে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ করেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান বর্বরতার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে সংহতি জানিয়ে অনেক বিভাগের শিক্ষার্থী ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন।

সোমবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে দুই হাজারের বেশি লোক অংশ নেয়।

সমাবেশে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যখন কোনো নিপীড়ন-নির্যাতন চলে তখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়। কারণ এখানে যারা থাকে তারা বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয়। সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীদের বলতে চাই যদি তোমরা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে চাও তাহলে ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। জ্ঞানের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে তাদের প্রতিহত করতে হবে। জাতিসংঘ-ওআইসি কাজে আসবে না। তোমরা নিজেদের যোগ্য করে তোলো, যেন আমরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র দেখে যেতে পারি।

গাইবান্ধা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বর্বরতা, গণহত্যা ও আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং বিশ্বব্যাপী মজলুম গাজাবাসীদের আহুত হরতালের প্রতি সমর্থন জানিয়ে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। সোমবার সকালে গাইবান্ধা শহরের পৌর শহীদ মিনার চত্বর থেকে সর্বস্তরের মুসলিম উম্মাহর ব্যানারে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও আলাদা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সেখানে যোগ দেন এবং গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই, বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর, ইসরায়েলের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ইসরায়েলি পণ্য বয়কট বয়কট’ ইত্যাদি প্রতিবাদী স্লোগানে গোটা শহর মুখর করে তোলেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ফিলিস্তিনিদের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শেখপাড়া বাজারের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর, ফিলিস্তিনে হামলা কেন জাতিসংঘ জবাব দে, বিশ্বের মুসলিম এক হও লড়াই করো, অ্যাকশন টু অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, বিশ্বের মুসলিম এক হও লড়াই করো, বিশ্ব মুসলিম জাগোরে জাগো, বয়কট বয়কট ইসরায়েল বয়কট, ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, স্টপ জেনোসাইড’ ইত্যাদি স্লোগানে ফেটে পড়েন।

লক্ষ্মীপুর

গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যাসহ বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে নেতানিয়াহুর কুশপুতুল দাহ করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ২টার দিকে শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা কুশপুতুল বানিয়ে আগুন দেয়।

এর আগে চকবাজার জামে মসজিদে জোহরের নামাজ শেষে জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উত্তর তেমুহনী এলাকায় এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সকালে একই দাবিতে উত্তর তেমুহনীতে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে ও দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ব্যানারে হরতাল-বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট নজির আহমেদ, নায়েবে আমির এআর হাফিজ উল্যাহ, সেক্রেটারি ফারুক হোসাইন নুরনবী, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ, লক্ষ্মীপুর পৌর জামায়াতের আমির আবুল ফারাহ নিশান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মমিন উল্যাহ পাটওয়ারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক আরমান হোসেন প্রমুখ।