বিনামূল্যে ছাতা-খাবার স্যালাইন পাচ্ছেন ৩৫ হাজার রিকশাচালক
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
মোট ৩৫ হাজার রিকশাচালককে বিনামূল্যে একটি করে ছাতা, ১২ প্যাকেট খাবার স্যালাইন ও একটি হাফ লিটার পানির জার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
রোববার (২৮ এপ্রিল) গুলশান-২ নম্বর নগর ভবনের সামনে রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, তীব্র দাবদাহে রিকশাচালক ভাইদের খুব কষ্ট হয়৷ প্রচণ্ড রোদে তারা যদি অসুস্থ হয়ে যায়, তাহলে পুরো পরিবারের জন্য অনেক সমস্যা। রোদের কারণে তারা যদি রিকশা চালাতে না পারে, তারা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাহলে তাদের পরিবার কিন্তু চলতে পারবে না। কারণ অনেক রিকশাচালকের দৈনিক ইনকামের ওপরে তাদের পরিবার চলে। তাই তীব্র দাবদাহে তাদের কষ্টের বিষয় চিন্তা করে এই উদ্যোগ নিয়েছি।
জাতীয়
বিনামূল্যে ছাতা-খাবার স্যালাইন পাচ্ছেন ৩৫ হাজার রিকশাচালক
ফযধশধ-ঢ়ড়ংঃ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪২
বিনামূল্যে ছাতা-খাবার স্যালাইন পাচ্ছেন ৩৫ হাজার রিকশাচালক
মোট ৩৫ হাজার রিকশাচালককে বিনামূল্যে একটি করে ছাতা, ১২ প্যাকেট খাবার স্যালাইন ও একটি হাফ লিটার পানির জার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৮ এপ্রিল) গুলশান-২ নম্বর নগর ভবনের সামনে রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, তীব্র দাবদাহে রিকশাচালক ভাইদের খুব কষ্ট হয়৷ প্রচণ্ড রোদে তারা যদি অসুস্থ হয়ে যায়, তাহলে পুরো পরিবারের জন্য অনেক সমস্যা। রোদের কারণে তারা যদি রিকশা চালাতে না পারে, তারা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাহলে তাদের পরিবার কিন্তু চলতে পারবে না। কারণ অনেক রিকশাচালকের দৈনিক ইনকামের ওপরে তাদের পরিবার চলে। তাই তীব্র দাবদাহে তাদের কষ্টের বিষয় চিন্তা করে এই উদ্যোগ নিয়েছি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ছাতাটা আমরা বিশেষভাবে তৈরি করেছি। এটা অ্যাডজাস্টেবল। কোনো রিকশাচালক লম্বা হলে ছাতার উচ্চতা বাড়িয়ে নিতে পারবে, কেউ উচ্চতায় কম হলে ছাতার উচ্চতা কমিয়ে নিতে পারবে। তাদের প্রত্যেককে হাফ লিটার পানির জার দিচ্ছি। এতে একটি স্যালাইন মিশিয়ে খেতে পারবে। এক লিটার জার দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু স্যালাইন মিশিয়ে খাওয়ার বিষয় বিবেচনা করে হাফ লিটার জার দিচ্ছি। চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটানোর কাজটি চলমান থাকবে। পার্কগুলোতেও পানির স্প্রে করা হবে। যদিও পার্কে স্প্রে করার কাজটি বেশ ব্যয়বহুল। আমি আহ্বান করছি… কেউ চাইলে সহযোগিতা করতে পারেন। কেউ ছাতা দিতে চাইলে আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন। অনেক কোম্পানি অথবা ব্যক্তি এগিয়ে আসতে পারেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়িকে (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সম্বলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এই ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে, যেন শহরের অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারে এবং পথচারী ও শ্রমজীবী মানুষ যেন পানি খেতে পারে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা গত বছর ৮০ হাজার গাছ লাগিয়েছি। এ বছর আরও এক লাখ ২০ হাজার গাছ লাগাবো। কিছু কিছু জায়গায় কিছু গাছ মারা গেছে। আসলে আমাদের আগে গাছের পরিচর্যার জন্য মালি ছিল না। ৪৭ জন মালি, তিনজন সুপারভাইজারের নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। মালি নিয়োগ হয়ে গেলে পরিচর্যা জোরদার করা হবে। আমি নগরবাসীকেও অনুরোধ করছি গাছগুলো দেখে রাখার জন্য। সিটি কর্পোরেশন পরিচর্যা করছে, পাশাপাশি নগরবাসী যার যার বাড়ির সামনে, দোকানের সামনে যে গাছগুলো আছে… সেগুলোর যতœ নেবেন।
ছাতা বিতরণ কার্যক্রম দেখতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদির রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ ও ফিলিস্তিনের উপ-রাষ্ট্রদূত।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ডিএনসিসি মেয়র রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে নিয়ে কয়েকজন রিকশাচালকের মাঝে ছাতা, স্যালাইন ও পানির জার বিতরণ করেন।
পরে মেয়র রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে নিয়ে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বরে স্প্রে ক্যাননের পানি ছিটানোর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর আমেনা বেগম