বিল পরিশোধের সময় বাড়াচ্ছে না চীন, চ্যালেঞ্জে ‘পদ্মা সেতু রেল’
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে চীনের লোন অ্যাভেইলেবিলিটি পিরিয়ড (বিল পরিশোধ) শেষ হবে ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর। এই সময় পর্যন্ত বিল পরিশোধ করবে চীন। প্রকল্পে কাজের বিলের ওপর ভিত্তি করেই অর্থছাড় করে দেশটি। কিন্তু চলতি মেয়াদে প্রকল্পের অনেক কাজ অসম্পূর্ণ থাকবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে বিল পরিশোধে আরও ছয় মাস সময় চায়। কিন্তু রাজি হচ্ছে না চীন। ফলে চ্যালেঞ্জে পড়েছে প্রকল্পটি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, প্রকল্পের প্যাকেজের ‘প্রভিশনাল সাম’ ও ‘প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট’- এই দুটি আইটেম থেকে সাশ্রয় করা অর্থ ফিজিক্যাল কন্টিনজেন্সি খাতের আওতায় সমন্বয় করে অতিরিক্ত কাজের বিপরীতে ব্যয় করার প্রস্তাব চীনা এক্সিম ব্যাংকে পাঠানো হয়। তবে এক্সিম ব্যাংক থেকে সম্মতি মেলেনি। ফলে লোন অ্যাভেইলেবিলিটি পিরিয়ডের মধ্যে প্রকল্পের সব কাজ শেষ করা ও এক্সিম ব্যাংক থেকে সম্মতি পাওয়ার পর সমুদয় বিল পরিশোধ করাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ।
২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বরের পর বিল কীভাবে দেওয়া হবে তা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে চলমান প্রকল্পে। লোন অ্যাভেইলেবিলিটি পিরিয়ড এক বছর বাড়ানোর অনুরোধ করা হলেও এক্সিম ব্যাংক অব চায়না থেকে ছয় মাস বাড়ানোর অনুমোদন দেয়। কিন্তু বাংলাদেশ এক বছর বাড়তি সময় চায়। জুলাই-২০২৪ থেকে আগস্ট-২০২৪ পর্যন্ত প্রায় দেড়মাস কাজের অগ্রগতি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী হয়নি। পরিবর্তিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে লোন অ্যাভেইলেবিলিটি পিরিয়ড বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। অন্যথায় প্রকল্পের অনেক কাজ অসমাপ্ত থেকে যাবে বলে জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। অতিরিক্ত কাজের বিপরীতে সাশ্রয় ঋণের অংশ (প্রায় ৯৩ মিলিয়ন ডলার) ব্যয় করার প্রস্তাব চীনা এক্সিম ব্যাংক থেকে যাচাই-বাছাই চলমান।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে চীনে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইআরডির এশিয়া উইংয়ের যুগ্মসচিব ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘আমি আপনাকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারবো না।’