জেলা প্রতিনিধি,সিলেটঃ
ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করার কারণে সিলেটের বিশ্বনাথের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এক সময়ের খরস্রোতা নদী বাসিয়া আজ হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন বেড়া দিয়ে ময়লা ফেলে ভরাট করার পর নদীতে দোকান, বসতঘর ও বিপণিবিতান নির্মাণ করছেন। কেউ কেউ চর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এতে নদীর বিভিন্ন স্থান সরু হয়ে গেছে। নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
সূত্রে জানা যায়, সুরমা নদী থেকে সিলেটের জালালাবাদ থানার মাসুকগঞ্জ বাজার নামক স্থান থেকে বাসিয়া নদীর উত্পত্তি হয়ে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জের স্বাধীনবাজার নামক স্থানে কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে শেষ হয়েছে। বাসিয়া তীরে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও ময়লা-আবর্জনা ফেলায় নদীর নাব্য শতভাগ থেকে এখন নব্বই ভাগ কমে গেছে। এতে প্রায় ৬০০ ফুট প্রস্থের বাসিয়া এখন একটি মরা খালে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া প্রায় ৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘের বাসিয়া নদীর উত্সমুখ ও নিষ্পত্তি মুখ দুটিই ভরাট ও দখল হয়ে গেছে। স্বাভাবিক প্রবাহ না থাকায় ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে নদীটি। পাশাপাশি বিশ্বনাথের প্রধান এই নদীটি ভরাট হওয়ার ফলে নানা ব্যাঘাত ঘটছে চাষাবাদেও।
আমেরিকাপ্রবাসী ও বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা মুজিব আহমদ মনির বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজনে এই নদীর তীরবর্তী গ্রামবাসী ও বাজারের ব্যবসায়ীদের আরো অধিক সচেতন হতে হবে, যাতে নদীতে ময়লা আবর্জনা না ফেলে তারা।’ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর বিষয়টি গুরুত্ব মনে করে বাসিয়া নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছি প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।’
বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী বাসিয়া নদীর বর্তমান অবস্থা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমরা সবাই নদীর বিষয়ে কাজ করছি। এখন অপেক্ষা করছি, সংশ্লিস্টদের কাছ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার। বাসিয়া নদী রক্ষা করার জন্য যা যা করার দরকার, তার সবই করব।’