বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন শিথিলের পর বুলেট গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ, যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।
এভাবে রোগী শনাক্ত ও প্রাণহানির হিসাবে প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। এতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনেক আগে থেকেই বলে আসছিল লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিলের ফল ভালো হবে না। ইতিমধ্যে চীনে নতুন করে সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এতে আংশিক লকডাউনে গেছে বেইজিং।
বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮ লাখ ১ হাজার ৪৫৪ জন। মারা গেছেন ৪ লাখ ২৯ হাজার ৯৬৪ জন। অবস্থা আশঙ্কাজনক ৫৩ হাজার ৯৬৪ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ২ হাজার ৯৪৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৭৩ জন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজারের বেশি। এরপর ব্রাজিলে ২৪ হাজার, ভারতে ১১ হাজার, রাশিয়ায় ৮ হাজার এবং চিলি ও পাকিস্তানে ৬ হাজার করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪ হাজার ৬০৩ জন।
আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭৯১ জনের। দেশটিতে মোট রোগীর সংখ্যা ২১ লাখ ২১ হাজার ৯২২ জন, মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯২৫ জনের।
ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮৪৩ জনের। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৮ লাখ ৩১ হাজার ৯০২ জন, মারা গেছেন ৪১ হাজার ৯৫২ জন।
করোনায় মৃত্যুর হিসাবেও বর্তমানে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে ব্রাজিল। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই দেশটির চেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে।
গত সপ্তাহেই ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের গবেষকরা সতর্ক করেছেন, আগামী আগস্ট মাসের আগেই ব্রাজিলে আরও এক লাখ মানুষ মারা যেতে পারেন। অর্থাৎ মৃত্যুতে তারা যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্ব তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা রাশিয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ২০ হাজার ৪২৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৮২৯ জনের।
যুক্তরাজ্যে মোট আক্রান্ত ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৫০ জন, মারা গেছেন ৪১ হাজার ৪৮১ জন।
স্পেনে মোট আক্রান্ত ২ লাখ ৯০ হাজার ২৮৯ জন, মারা গেছেন ২৭ হাজার ১৩৬ জন। এরপর ইতালিতে আক্রান্ত ২ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৫ জন, মারা গেছেন ৩৪ হাজার ২২৩ জন।