নিজস্ব প্রতিবেদক:
বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাস উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ওয়াটার বাসটিকে পোস্তগোলা ব্রিজের দিকে নিয়ে আসে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’।
এর আগে সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমের সাহায্যে নতুন করে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। তবে আজকের অভিযানে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জীবিত বা মৃত কেউ উদ্ধার হয়নি। এ অবস্থায় উদ্ধার অভিযান চলমান রেখেছেন ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মীরা।
এ বিষয়ে সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের এসআই হাসান মারুফ বলেন, উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমের সাহায্যে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাস টেনে নদীর তীরে নেওয়া হয়েছে। তবে গতকাল রোববার রাতের পর আর কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। উদ্ধার কাজ এখনো চলমান রয়েছে বলে জানান নৌ-থানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এর আগে গতকাল রোববার রাতে ওয়াটার বাসডুবির পর প্রায় ছয় ঘণ্টা উদ্ধার কার্যক্রম চলে। পরে রাত ২টা ৪০ মিনিটে উদ্ধার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করা হয়। প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যাপী চলা উদ্ধার কার্যক্রমে জীবিত ৬ জন ও মৃত ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়।
রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তেলেরঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীর অংশে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীসহ এই ওয়াটার বাসটি ডুবে যায়। এ সময় অনেকে সাঁতার কেটে তীরে পৌঁছাতে পারলেও অনেকেই নিখোঁজ হন। পরে উদ্ধারকারীরা ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসের তিন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া জীবিত উদ্ধার হওয়া ৬ জনকে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।