বেরোবির ৩ শিক্ষকের নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি

প্রকাশিত: ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২৪

রংপুর প্রতিনিধি:

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়র (বেরোবি) তিন শিক্ষকের নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ১০৮তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ, ইতিহাস ও প্রতœতত্ত্ব বিভাগের ইউসুফ এবং গণিত বিভাগের আইরিন আক্তারেরর নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ গেছে। তারা ওই অভিযোগ দায়েরের কপিটা আমাকে দিয়েছেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এছাড়া বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে তাদের অবৈধ নিয়োগের অভিযোগের বিষয়টি পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, এটা একটা গুরুতর বিষয়। আমরা যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো কিছু না করি, তাহলে এই অভিযোগে আমাদেরও দায়ী করা হবে। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং (তথ্য অনুসন্ধান) কমিটি গঠন করা হবে। এসব অভিযোগ যদি সত্য হয়, আইন অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরআগে উপাচার্য জানান, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড ও শিক্ষার্থী নিপীড়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষক, ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৭২ জন শিক্ষার্থী অভিযুক্ত হয়েছে।

যে সব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এ হত্যাকাণ্ড ও শিক্ষার্থী নিপীড়নে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মামলা রুজু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা আচরণ বিধি ২০১৮, মোতাবেক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত তাদের ছুটি মন্জুর না করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সব শিক্ষার্থী ছাত্রত্ব শেষ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে। যাদের ছাত্রত্ব আছে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।