ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের হামলায় বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা
কাঠ ব্যবসায়ীসহ শ্রমিকদের বাধা ও হামলার মুখে খুলনার রূপসা এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করেছে বিআইডব্লিউটিএ। উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গেলে স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে উচ্ছেদ অভিযানের বিরোধিতা করেন। এমনকি তারা বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরদের ওপর হামলা ও তাদের গাড়ি ভাঙচুর করেন। হামলায় বিআইডব্লিউটিএর তিন কর্মী আহত হয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিএ খুলনার উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘ ৪০-৪৫ বছর ধরে তারা রূপসা নদীর তীরে কাঠের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। ২০০৭ সালে তারা তাদের ব্যবসার স্থান বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে সেখান থেকে তাদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য গত ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে নোটিশ প্রদান করে।
কাঠ ব্যবসায়ীরা আরও জানান, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ীদের বন্দোবস্ত না দিলেও আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজুল ইসলাম টিটোকে বন্দোবস্ত প্রদান করে। টিটো প্রতিবছর সেই বন্দোবস্ত নবায়ন করে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ এলাকায় মাইকিং করে ব্যবসায়ীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এর প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা আজ সোমবার সকাল ১০টায় রূপসা স্ট্যান্ড রোডে মানববন্ধনের আয়োজন করেন এবং সড়কে কাঠের গুড়ি ফেলে অবরোধ করেন।
বেলা ১১টার আগে বিআইডব্লিউটিএর ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমা আক্তারের নেতৃত্বে স্কেভেটর সেখানে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিলেই শ্রমিকরা তাদের ওপর হামলা করেন। এ সময় তাদের ২টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় নুরুল হক, অনুকূল চন্দ্র ও আকতার নামে তিনজন আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর (সংরক্ষিত) জেসমিন জলি বলেন, কাঠ ব্যবসায়ীরা তাদেরকে বন্দোবস্ত প্রদানের জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির প্রতি কোনো কর্ণপাত না করে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এতে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
বিআইডব্লিউটিএ খুলনার উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা নিয়মমাফিক সেখানে অভিযান চালাতে যাই। কিন্তু সেখানে অবৈধ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করে এবং আমাদের তিন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মেরে আহত করে। এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।তিনি আরও বলেন, বন্দোবস্তের বিষয়টি মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দিতে পারে। আমরা তাদের আবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।