ব্যাংকিং মুরাবাহা প্রয়োগে জটিলতা কোথায় এবং সমাধান কী?

প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

ইসলামিক ডেস্ক:

মুরাবাহা মূলত ইসলামী ফিকহে ক্রয়-বিক্রয়ের একটি মেথড। এটি এটি ইসলামী অর্থায়ন পদ্ধতি নয়। মুরাবাহার মূল বক্তব্য হচ্ছে, ক্রয় মূল্য উল্লেখপূর্বক নির্দিষ্ট মুনাফার ভিত্তিতে ওই পণ্যটিকে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেওয়া।

সাধারণ বেচাকেনা ও ‍মুরাবাহার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে, সাধারণ বেচাকেনা ক্রয়মূল্য উল্লেখ করা অপরিহার্য নয়। পক্ষান্তরে মুরাবাহাতে ক্রয় মূল্য উল্লেখ করা অপরিহার্য।

মুরাবাহা যেহেতু বেচাকেনার একটি পদ্ধতি তাই বেচাকেনার যে সমস্ত অপরিহার্য শর্ত রয়েছে সেগুলো এখানে মেনে চলতে হবে। যেমন যে বস্তুটি বিক্রি করা হবে তা বাস্তবে অস্তিত্বে থাকা এবং বিক্রেতার মালিকানায় থাকা ইত্যাদি।

মুরাবাহা যেহেতু বেচাকেনার একটি পদ্ধতি তাই বেচাকেনার যে সমস্ত অপরিহার্য শর্ত রয়েছে সেগুলো এখানে মেনে চলতে হবে। যেমন যে বস্তুটি বিক্রি করা হবে তা বাস্তবে অস্তিত্বে থাকা এবং বিক্রেতার মালিকানায় থাকা ইত্যাদি।

ইসলামিক ব্যাংকিং ফাইন্যান্সে, মুরাবাহাকে অর্থায়ন হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেসব গ্রাহকদের পণ্য ও সম্পদ ক্রয়ের জন্য ঋণের প্রয়োজন হয় তাদের চাহিদা মেটানোর জন্য মুরাবাহাকে ব্যবহার করা হয়।

ইসলামী অর্থব্যবস্থায় মুরাবাহার ব্যবহার শরীয়াহ আইনের নীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। সুদ গ্রহণের পরিবর্তে ব্যাংক গ্রাহকের পক্ষে সম্পদ ক্রয় করে পূর্বের মূল্য ও খরচ উল্লেখপূবর্ক একজন নির্দিষ্ট কাস্টমারের কাছে বিক্রি করে দিযে মুনাফা গ্রহণ করাকে বিজ্ঞ মুফতিগণ সাময়িকভাবে অনুমোদন দিয়েছেন। তবে এটি স্থায়ী কোনো অর্থায়ন পদ্ধতি নয়।