ব্যাংকে গ্রাহকের আমানত নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই

প্রকাশিত: ৩:৫৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২৪

সেলিনা আক্তার:

ব্যাংকে গ্রাহকের আমানতের টাকা নিয়ে আতঙ্কের কিছুই নেই। সবাই তাঁর আমানতের টাকা ফিরে পাবেন। ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়াতে কিছুটা সময় লাগবে। অপ্রয়োজনে বা এক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অন্য ব্যাংকে রাখার প্রবণতা না কমলে সব গ্রাহকের টাকা একসঙ্গে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একযোগে সব গ্রাহক টাকা তুলতে গেলে পৃথিবীর কোনো ব্যাংকই টিকবে না। কিছু গ্রাহকের আমানতের টাকা ওঠানোর প্রয়োজন হচ্ছে না, তারপরও তারা টাকা তুলতে যাচ্ছেন। ফলে কিছু ব্যাংকের তারল্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
ব্যাংকগুলোকে ভালো অবস্থানে নিয়ে আসতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপরিকল্পনা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সব আমানতকারীকে আহ্বান করছি, প্রয়োজনের বেশি টাকা আপনারা তুলবেন না। আমরা আস্থা ফেরাতে চাই। আমরা সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে গত দেড় মাসে ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার সাপোর্ট দিয়েছি। আরও প্রয়োজন হলে সে বিষয়েও বিবেচনা করা হতে পারে। তবে ব্যাংকগুলো নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, আদালতের নির্দেশে একটি গ্রুপের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে রিসিভারের বিষয়ে কাজ চলছে। অন্য কোনো গ্রুপের বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশ আসেনি। তিনি বলেন, কোনো গ্রুপ আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে অর্থ পাচার করে থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক তার তদন্ত করবে। কিন্তু হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার হলে তার তদন্ত করা কঠিন। এ নিয়ে কাজ করছে বিএফআইইউ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, একটি টাস্কফোর্স ব্যাংকিং খাত সংস্কার বিষয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে আরেকটি টাস্কফোর্স কাজ করছে। অপর একটি পাচার করা অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ১১টি ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করেছি। এসব ব্যাংক নিয়ে কাজ চলছে। শুরুতে মনোযোগ ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর দিকে। তবে এই ১১ ব্যাংকই শেষ নয়, প্রত্যেক ব্যাংকের অনিয়মই খতিয়ে দেখবে বাংলাদেশ ব্যাংক।’