ব্যাটিং ধসে ১৯১ রানেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস

প্রকাশিত: ৫:২৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক:

 

শেষদিকে জাকের আলীর সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন হাসান মাহমুদ। এই জুটি ভাঙেন ব্লেসিং মুজারাবানি। দারুণ এক ইনসুইংয়ে হাসানকে বোল্ড করেন তিনি। ফেরার আগে ৩০ বলে ১৯ রান করেন হাসান। দলীয় ১৯১ রানে ফিরে যান জাকের আলী অনিকও। ৫৯ বলে ২৮ রান করেন এই উইকেটরক্ষক। ওয়েসলি মাধেভেরেকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন জাকের। শেষ ব্যাটার নাহিদ রানাকেও বোল্ড করেন মাধেভেরে। এতে বাংলাদেশ দলের প্রথম ইনিংস থেমে গেল ১৯১ রানে।

৭ উইকেট হারিয়ে চা-বিরতিতে বাংলাদেশ

প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশ যখন মধ্যাহ্নভোজে যায় তখন স্কোরকার্ডে ২ উইকেটে ৮৪ রান। যেটা খুব একটা খারাপ বলা যায় না। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজ করে মাঠে ফিরতেই যেন তালগোল পাকিয়ে ফেললো টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের বোলিং বাংলাদেশের ব্যাটারদের কাছে রীতিমত দূর্বোধ্য হতে লাগলো। শীর্ষ ব্যাটারদের প্রত্যেকেই হতাশ করেছেন দর্শকদের। দ্বিতীয় সেশনের ২৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে মাত্র ৭০ রান। সেশন শেষে ৫০ ওভারে বাংলাদেশের রান সাত উইকেটে ১৫৪। ১০ রানে ব্যাটিং করছেন জাকের। হাসানের রান ৪।

জিম্বাবুয়ের হয়ে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। এই বাঁহাতি স্পিনার ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ মেডেনে মাত্র ৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। বাকি দুটি নিয়েছেন পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি। একে একে ফিরে গেছেন নাজমুল, মুমিনুল, মুশফিক, মিরাজ ও তাইজুল।

হতাশ করলেন মিরাজও, ৬ উইকেটের পতন

দ্রুত মুশফিক-মুমিনুলকে হারানোয় জাকের-মিরাজের দায়িত্ব ছিল ধরে খেলা। কিন্তু মিরাজের বিদায়ে এই জুটিও শুরুর আগেই শেষ। ৪ বলে ১ রান করে মুজারাবানির শিকার হলেন মিরাজ। তার বিদায়ে পতন হল বাংলাদেশের ষষ্ঠ উইকেটের। ক্রিজে জাকেরের সঙ্গী তাইজুল। ৪৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩৭ রান।

মুশফিক-মুমিনুলকে হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

মুশফিকের দেখানো পথ অনুসরণ করলেন মুমিনুল হক। আক্রমণাতœক হতে গিয়ে মাসাকাদজাকে মেরে খেলতে গিয়ে মাধেভেরের ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। সাজঘরে ফেরার আগে ১০৫ বলে ৮ বাউন্ডারি ও এক ছক্কার সৌজন্যে ৫৬ রান করেন মুমিনুল। তার বিদায়ে পতন হল বাংলাদেশের পঞ্চম উইকেটের। ক্রিজে জাকেরের সঙ্গী মিরাজ। ৪৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩৭ রান।

বাজে শটে সাজঘরে মুশফিক

দ্বিতীয় সেশনে নাজমুল হোসেন শান্তর পর উইকেট দিয়ে এসেছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও (৪)। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার সহজ বলে বাজে শটে আউট হলেন বাংলাদেশের সফলতম টেস্ট ব‍্যাটসম‍্যান। মুশফিককে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। ৪১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১২৫ রান। ক্রিজে মুমিনুল হকের সঙ্গী জাকের আলি।

মধ্যাহ্নভোজের পর শান্তকে হারাল বাংলাদেশ

মধ্যাহ্নভোজের পর খেলা শুরু হলে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকে বাংলাদেশের দুই ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুমিনুল হক। তবে দলীয় ৯৮ রানে শান্তর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুমিনুলের সঙ্গে শান্তর ৬৬ রানের জুটি ভাঙেন মুজারাবানি। নাজমুল হোসেন শান্ত ৪০ করে মুজারাবানির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন। ক্রিজে নতুন ব্যাটার মুশফিকুর। ৩৩ ওভার শেষে ৯৮ রানে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। ০ রানে মুশফিক ও ২৫ রানে আছেন মুমিনুল।

বৃষ্টি বাগড়ায় ৩০ মিনিট পর খেলা শুরু

বৃষ্টির বাগড়ায় ভেসে গেল ৩০ মিনিট। দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু হলো । মধ্যাহ্নভোজের আগে ২ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান করেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক নাজমুল ৪৩ বলে ৩০ ও মুমিনুল হক অপরাজিত আছেন ৪৬ বলে ২১ রানে।

মধ্যাহ্নভোজের পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

সকাল থেকেই ছিল বৃষ্টির চোখরাঙানি। মধ্যাহ্নভোজের ঘন্টাখানিক আগে থেকেই আলো কমে যাওয়ায় ফ্লাডলাইট চালু করা হয়। কৃত্রিম আলোতে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত খেলা হয়েছে। তবে এই বিরতির মাঝেই নেমেছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ঢেকে দেওয়া হয়েছে উইকেট ও এর আশপাশের জায়গা ফলে নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যায়নি দ্বিতীয় সেশনের খেলা।

রোববার সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৮৪ রান। শান্ত ৪৩ বল খেলে পাঁচটি চার মেরে অপরাজিত ৩০ রানে, আর মুমিনুল ৪৬ বলে দুটি চারে অপরাজিত ২১ রানে ব্যাট করছেন। এই জুটির পঞ্চাশ পূর্ণ হয় ৭৭ বলে।

এর আগে বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ছিল হতাশাজনক। প্রথম ঘণ্টাতেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। মাত্র ৩২ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর ধৈর্য আর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ইনিংস মেরামতের কাজটা এগিয়ে নিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৫২ রানের জুটিতে প্রথম সেশন শেষে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে টাইগাররা।

এখন দেখার বিষয়, খেলা শুরুর পর এই জুটি কতদূর টেনে নিতে পারেন শান্ত ও মুমিনুল।

বাংলাদেশের একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, জাকের আলি (উইকেটরক্ষক), তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, খালেদ আহমেদ।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: বেন কারান, ব্রায়ান বেনেট, নিকোলাস ওয়েলচ, শন উইলিয়ামস, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ওয়েসলি মাধভেরে, নিয়াশা মায়াভো (উইকেটরক্ষক), ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা, ব্লেসিং মুজারাবানি, ভিক্টর এনাউচি।