নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন বর্ষার আগে থেকে চট্টগ্রাম নগরের খালগুলো পরিষ্কার রাখতে সাদা পোশাকে নজরদারির কথা জানিয়ে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, যার ভবনের সামনে ময়লা দেখবো তাকে জরিমানা করা হবে।যেসব ভবনের বাসিন্দারা খাল ও নালায় ময়লা ফেলবে সেসব ভবন মালিককে জরিমানা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় বর্জ অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন মেয়র।
তিনি বলেন, জনবহুল বন্দরনগরীতে ৬০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসে। শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা চলমান প্রক্রিয়া। জনসাধারণকে সচেতন করতে আমরা মাসব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছি। লিফলেট দিচ্ছি, মাইকিং করছি। এরপর যার ভবনের সামনে ময়লা দেখবো তাকে জরিমানা করা হবে।
মেয়র বলেন, আজ থেকে সরাসরি অভিযান। যে ভবন থেকে ময়লা খালে ফেলবে সাদা পোশাকে চসিকের কর্মীরা তা ভিডিও করবে, সে প্রতিবেদন অনুসারে ভবন মালিককে জরিমানা করবো।
তিনি বলেন, প্রতি বছর বর্ষায় জলাবদ্ধতার শিকার হই। জলাবদ্ধতা একেবারে কমে যাবে সেটা বলা যাবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্ষায়, জোয়ারে পানি উঠবে। সিডিএ জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজ করছে। আমরা খালের মাটি উত্তোলনে জোর দিয়েছি। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিতদের মাটি উত্তোলনে কাজ করতে বলেছি।
এ সময় মেয়র বলেন, ফুটপাত জনগণের হাঁটার জন্য। হকাররা ব্যবসা করার জন্য নয়। তাই ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে। তিনটি ওয়ার্ডকে তারের জঞ্জালমুক্ত করা হবে। মাথার ওপরে তার দেখা যাবে না। অপরিকল্পিত গাড়ি পার্কিং রোধে পে-পার্কিং করা হচ্ছে বলেও জানান মেয়র রেজাউল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী বলেন, ২৫ ডিসেম্বর খালের মাটি উত্তোলনের কাজ শুরু হয়েছে। নগরে ৩৬টি খাল রয়েছে। এর মধ্যে ২১টি খালের কাজ সিডিএ করছে। কিছু খালের কাজ শেষ পর্যায়ে। সেগুলো চসিককে হ্যান্ডওভার করবে। বর্ষা পর্যন্ত আমরা খাল থেকে মাটি উত্তোলন করবো।