ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে রাতের ঢাকা

প্রকাশিত: ৯:০৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩

এসএম দেলোয়ার হোসেন:
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত যত গভীর হচ্ছে ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে রাতের ঢাকা। রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে পাড়া-মহল্লার গলিপথেও বাড়ছে অপরাধীদের অপতৎপরতা। এর ফলে রাতের বেলায় রিকশারোহী ও সাধারণ যাত্রীদের চলাচলে অনিরাপদ হয়ে উঠছে ঢাকার সড়কগুলো। নির্জন রাস্তার পাশে দলবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থেকে টার্গেটকৃত যাত্রী-পথচারীদের আটকে ছিনিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা ও মোবাইল সেটসহ মূল্যবান সামগ্রী। চক্রের সদস্যরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে মোটরসাইকেল আর প্রাইভেটকারে দাবড়ে বেড়াচ্ছে ঢাকার রাজপথ-অলিগলির সড়ক। ভাসমান মাদকসেবিরা ফুটওভার ব্রিজে অবস্থান নিয়ে পথচারীদের গতিরোধ করে ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার শতাধিক স্পটে ছিনতাইকারীরা ওঁৎ পেতে থেকে অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই এসব চক্রের কবলে প্রাণ হারিয়েছেন পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামান। মোবাইল সেট খুইয়ে আহত হয়েছে সাংবাদিকসহ অনেকে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, রাতের বেলা পুলিশি টহল ও তল্লাশি ব্যবস্থায় অপ্রতুলতার কারণে রাস্তাঘাটে ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। অন্ধকার সড়কে পুলিশি টহল ব্যবস্থা জোরদার করা ও পর্যাপ্ত সিসিটিভি স্থাপন করে প্রতিনিয়ত মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ জনগণ। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, শুধু ছিনতাই নয়, যেকোনো ধরনের অপরাধ দমনে এবং চুরি যাওয়া মোবাইল সেট উদ্ধারে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) পুলিশসহ ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, শাহবাগ, মোহাম্মদপুর, লালবাগ, চকবাজার, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, যাত্রাবাড়ী, ওয়ারী, সুত্রাপুর ও মিরপুরসহ অন্তত ২৫টি থানা এলাকায় শতাধিক স্পটে বেড়েছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। একই সঙ্গে এসব এলাকায় ঘটছে চুরি-ডাকাতি ও চাঁদাবাজির ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাত প্রায় ১২টার দিকে শাহবাগ থানাধীন ঢাবি ক্যাম্পাসের ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভারসিটি স্কুলের অদুরে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে মোবাইল সেট খুইয়েছেন দৈনিক সবুজ বাংলার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শামসুর রহমান। তিনি জানান, ঘটনার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে রিকশাযোগে মতিঝিলের অফিস থেকে আজিমপুরের বাসায় ফিরছিলেন। তাকে বহনকারী রিকশাটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি মোটরসাইলে আসা ৩ জন আরোহী তার রিকশার গতিরোধ করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই তার হাতে থাকা মোবাইল সেটটি ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে পলাশীর দিকে পালিয়ে যায়। এরপর তিনি বিষয়টি শাহবাগ থানায় জানালে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে মামলা করার পরামর্শ দেন। এরপর তিনি তার বাসায় ফিরে যান। কিন্তু মোবাইল সেটটি আর পাননি। একই পত্রিকার নারী সাংবাদিক রুবাইয়া আক্তার জানান, গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে অফিসের কাজ শেষে মতিঝিলের বকচত্ত্বরের সামনে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় এক রিকশাচালক তার সামনে এসে দাঁড়ায়। তখন তিনি সঁড়ে দাঁড়াতেই ওই রিকশাচালক কটুক্তি করে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে তিনি রিকশাচালককে ধরে আশপাশের লোকজনকে ডাকেন। তখন রিকশাচালকের পক্ষ নিয়ে ৪/৫ জন তাকে ছেড়ে দিতে তাগিদ দেন। এ সময় তিনি তার সহকর্মীদের খবর দেন। সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন যুবক নিজেদের দলীয় নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে রিকশাচালককে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে সংঘবদ্ধ চক্রটি তার সহকর্মীদের লাঞ্ছিত করেন। পরে মতিঝিল থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করলে রিকশাচালককে ছাড়িয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন কথিত নেতাকর্মীরা।
এদিকে রাপজধানীতে গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তুহিন কাজী ও মশিউর রহমান তাপস নামের শাহ আলী থানার দুই উপ-পুলিশ পরিদর্শককে (এসআই) চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করেছে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরেবাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. আহাদ আলী বলেন, ডিএমপির মিডিয়া শাখার ডিসির সঙ্গে কথা বলেন। আমি কিছু বলতে পারবো না। তবে কোন মামলায় এবং কোথা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে, সে ব্যাপারে পুলিশের কোনো কর্মকর্তাই তথ্য জানাতে রাজি হননি।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক জানান, একটি চাঁদাবাজির মামলায় ওই দুজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।


পুলিশ জানায়, গত ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গোপন সংবাদে শাহবাগ থানার ওসমানী উদ্যান এলাকার সামনের রাস্তার উপর অভিযান চালায় ডিএমপির ডিবি পুলিশের একটি দল। এ সময় ছিনতাই বা চুরি করা মোবাইল সেট ক্রয়-বিক্রয়ের অভিযোগে ২৪টি মোবাইল সেটসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলো- মো. রিমন, মো. হাসান, মো. সায়মন, মো. জাহাঙ্গীর ওরফে আকাশ ইসলাম ও মো. আলম জোমাদ্দার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির ডিবি রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) জাবেদ ইকবাল।


এদিকে গত ১৪ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ১নং গেটের সামনে অভিযান চালিয়ে ২০টি চোরাই মোবাইল সেটসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হলো- -মো. জুয়েল মিয়া, মো. আবু তালেব, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. হাসান ও মো. পারভেজ হোসেন। ওয়ারী জোনের এডিসি মো. ইলিয়াছ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। একইদিন দিবাগত রাত ২টার দিকে হাজারীবাগের ছাবিনা ট্যানারী হাড্ডি কারখানার সামনে থেকে মোটরসাইকেল চুরির সময় রুবেল নামে এক চোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে ১২ ডিসেম্বর রাতে রায়েরবাজার এলাকায় মোবাইল চুরি করে পালানোর সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে রাসেল হোসেন পারভেজ নামের এক চোর।
একইদিন রাজধানীর পরীবাগ ও হাতিরপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই আইফোন, ল্যাপটপসহ অন্যান্য যন্ত্রংশসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরা হলো- মো. মনির হোসেন, জহির হোসেন, মো. সুরুজ হোসেন, রকি, রাজন আহমেদ, মো. রাসেল ও মো. তানভির আহম্মেদ।
ডিবিপ্রধান বলেন, গত ১৮ নভেম্বর জনৈক এক ভুক্তভোগী স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য স্কয়ার হাসপাতালে গেলে সেখানে রিসিপশন থেকে তার আইফোন, এনআইডি কার্ড ও ব্যাংকের ৩টি কার্ড চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা টিম। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুত্তির সহায়তায় চুরির ঘটনায় জড়িত চোরদের শনাক্ত করা হয়। এরপর রাজধানীর পরিবাগ ও হাতিরপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে গোয়েন্দা-রমনা বিভাগের এডিসি মিশু বিশ্বাস জানান, গত ২৯ নভেম্বর রাতে সেগুনবাগিচার লাউঞ্জ রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারের সাটারের তালা কেটে ডিজিটাল ক্যাশভেঙে চুরি হয়। এ ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর শাহবাগ থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চোরদের শনাক্ত করে ঘটনায় জড়িত মো. জুলহাস আকন ওরফে জুলহাস আকন্দ রানা, মো. জাকির হোসেন ওরফে জাকির আকন ও মো. মোজাফ্ফর নামের ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ, তালা ভাঙ্গার লোহার রড ও রেঞ্জ এবং চুরি যাওয়া নগদ ১ হাজার ৮ শত টাকা উদ্ধার করা হয়।


পুুলিশ জানায়, জানান, গত ২১ নভেম্বর রাতে বনানী থানা এলাকার একটি বাসা থেকে বেশ কিছু স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের অলংকার চুরি হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৩ নভেম্বর বনানী থানায় একটি চুরি মামলা হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তকে শনাক্ত করে কড়াইল বউ বাজার এলাকা থেকে জেসমিন ওরফে সাথীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের বিভিন্ন ধরণের অলংকার উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে গত নভেম্বরের শেষের দিকে শ্যামপুরে ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরা হলো- মো. আলম, মো. আলমগীর হোসেন, মো. পলাশ শেখ ও মো. সাব্বির হোসেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।


অপর ঘটনায় তিনি নিউজ পোস্টকে জানান, গত ২৬ নভেম্বর রাত দেড়টার দিকে ধানমন্ডি আবাহনী মাঠের পিছনে ওয়াসার অফিসের সামনে একটি প্রাইভেটকার তাদের রিকশার গতিরোধ করে। প্রাইভেটকার থেকে নেমে কতিপয় ছিনতাইকারী চাপাতির ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভিকটিম ও তার ভাইয়ের কাছ থেকে দুইটি স্যামসাং মোবাইল, বারশো টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। ভিকটিমদের চিৎকারে খুব দ্রæত ধানমন্ডি থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং ছিনতাইকারীদের পিছনে ধাওয়া করে। বিভিন্ন টহলরত পুলিশের সহায়তায় কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দুইজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে ছিনতাইকৃত একটি স্যামসাং মোবাইল, একটি মোবাইলের ব্যাক কাভার এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ও দুইটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।


এদিকে রাতের ঢাকায় চুরি-ছিনতাই ও ডাকাতিরোধে পুলিশের টহল ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া সেলের ডিসি মো. ফারুক হোসেন। তিনি নিউজ পোস্টকে বলেন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্যার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজধানীর ৫০টি থানা এলাকায় অপরাধ দমন ও অপরাধী নির্মূলে পুলিশের টহল ব্যবস্থা ও চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনা ছাড়া অধিকাংশই পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাজধানীর ফুটওভার ব্রিজগুলোতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ভাসমানদের কারণে ফুটওভারগুলো দিয়ে রাতে চলাচলে জনসাধারণ বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হলেও পথচারীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিচ্ছে।


এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর নিউজ পোস্টকে বলেন, রাতের ঢাকায় জনসাধারণের চলাচল নিশ্চিতে শুধু ছিনতাই নয়, যেকোনো ধরণের অপরাধ দমনে এবং চুরি যাওয়া মোবাইল সেট উদ্ধারে মাঠ পর্যায়ের সকল পুলিশ সদস্যকে কঠোর দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত অক্টোবর মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম। ওই সভায় চুরি অথবা ছিনতাই হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রির স্থানে অভিযান পরিচালনা এবং ফোন ছিনতাই অথবা চুরি প্রতিরোধে টহল জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে ও সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তিনি কিশোর অপরাধ দমনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। সেদিন ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. আনোয়ার হোসেন, ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) জয়দেব কুমার ভদ্র এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।


এর আগে গত ১ জুলাই ফার্মগেট এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে খুন হন পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামান। এরপর পুলিশ রাজধানীজুড়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৪৮ জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে কনস্টেবল মনিরুজ্জামান হত্যায় রাব্বি (২১), লিটন (২১) এবং কামরুল নামে ৩ ছিনতাইকারী জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে নিউজ পোস্টকে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।


নানা সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশ বসে নেই। মানুষের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে। তবে একটা জিনিস আমাদের বুঝতে হবে ব্যক্তিগত জিনিস ও নিজের শরীরের নিরাপত্তা কিন্তু পৃথিবীতে প্রত্যেককে নিজেই দিতে হয়। তবে রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব রয়েছে। সেক্ষেত্রে পুলিশও মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। তবে আগের তুলনায় অপরাধ প্রবণতা অনেকটাই কমে গেছে।