ফেনী প্রতিনিধি:
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার একটি পৌরসভা ও পাঁচ ইউনিয়নের মোট ১৫১ জন ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে ঘর বিতরণ করা হয়। মাথাগোঁজার স্থায়ী একটি আবাসন পেয়ে নতুন জীবন শুরু করেন এসব অসহায় মানুষ। কিন্তু ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউনিয়নের দুর্গাপুর সিংহনগর আশ্রয়ণ প্রকল্পে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। নিজেকে ভূমি ও গৃহহীন দাবি করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নিলেও তা দিয়ে এখন ব্যবসা করছেন উপকারভোগীরা। এমন অভিযোগ উঠেছে আমিনুল হক করিম ও আবুল খায়ের নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার (২১ জুলাই) আশ্রয়ন প্রকল্পের এলাকা সরেজমিনে ঘুরে এসব তথ্যচিত্র পাওয়া গেছে।
আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের অভিযোগ, আমিনুল হক নিজের নামে বরাদ্দ ঘরে কখনো বসবাস করেননি। চলতি মাসে ৮০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে কমলা বেগম নামে এক নারীর কাছে ঘরটি ভাড়া দিয়েছেন। অন্যদিকে আবুল খায়েরের নামে বরাদ্দ ঘরটি দীর্ঘদিন তার এক আত্মীয়ের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে সেই ঘরে তালা ঝুলিয়ে রাখলেও তিনি নতুন ভাড়াটিয়া খোঁজ করছেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে আমিনুল হক ও আবুল খায়েরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে প্রকল্পে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান ভাড়া নেওয়া ঘরগুলোর বাসিন্দারা। সঠিক যাচাই-বাছাই না করে প্রকৃত উপকারভোগীদের আশ্রয়ণে ঘর না দেওয়ায় সরকারি ঘর ভাড়া দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম বলেন, এ বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেবো।
ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌমিতা দাশ জানান, নিজের নামের বরাদ্দ ঘর ভাড়া দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।