ডেস্ক রিপোর্ট:
ভারতের উত্তরপ্রদেশে মহাকুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ১৫ জন হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ১ টার দিকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর ফ্রান্স২৪।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মেলায় আগত পূণ্যার্থীরা গঙ্গাস্নানের উদ্দেশে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই গঙ্গা নদীর তীরে জড়ো হয়েছিলেন। বুধবার সূর্য ওঠার আগেই স্নান শেষের বাধ্যবাধকতা থাকায় ব্যাপক ভিড় জমেছিল গঙ্গার তীরে।
রাত ২টার দিকে ১২ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের কাছে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে মেলার প্রশাসন জানায়। পদদলনের মূল কারণ এখনও জানা যায়নি।
মুলত ভারতীয় চান্দ্র পঞ্জিকা অনুসারে মঙ্গলবার ছিল মৌনী অমাবস্যা। সনাতন ধনর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এ তিথিতে প্রয়াগরাজের গঙ্গা, যমুনা ও স্বরস্বতী নদীর সঙ্গমে স্নান করলে অশেষ পূণ্য অর্জিত হয়। এ কারণেই মঙ্গলবার এত ভিড় ছিল সেখানে।
ভারতের কুম্ভ মেলা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাগম হিসেবে পরিচিত। প্রতি ১২ বছর পর পর হয় এই মেলা এবং এতে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জড়ো হন কয়েক কোটি পূন্যার্থী।
কিন্তু এইবার পূণ্যার্থীদের অতিরিক্ত ভিড় জমায় পদদলিত হয়ে এমন দুর্ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রয়াগরাজের উৎসবস্থলের একজন ডাক্তার জানিয়েছেন, ‘এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।’
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি কুম্ভমেলায় আগুনের ঘটনা ঘটেছিল। ১৯ নম্বর সেক্টরে গীতা প্রেসে প্রথম আগুন লাগে। এরপর সেখান থেকে আশপাশের ৫০টি তাঁবুতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে, ১৯৫৪ সালে এমন ঘটনা ঘটেছিল। ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায় সেই সময় যা বিশ্বব্যাপী জনসমাগমজনিত দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ভয়ানক ঘটনতনা।
এছাড়াও, ২০১৩ সালেও ৩৬ জন মানুষ মারা যান। তাই এতদিন এই মেলা অনুষ্ঠিত হয় নাই।