ভুয়া সংবাদ প্রচারের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন। এর আগে ৩১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টায় নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার গাবতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. সাইফুল ইসলাম (৩১) নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার পূর্ব ছাতারপাইয়া গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী।

পুলিশ জানায়, গত ২৯ আগস্ট কয়েকটি ফেসবুক পেজ থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষে ‘মধ্যরাতে উত্তাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একটি ভুয়া ও মিথ্যা ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে সাধারণ জনগণসহ সারা দেশের ছাত্রদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার ও উত্তেজনা বিরাজ করে। এ ছাড়াও দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্নসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সম্ভবনা দেখা দেয়। বিষয়টি আরএমপি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের নজরে আসলে তিনি আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে এর সত্যতা যাচাই করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলো পর্যালোচনা করে দেখেন যে, ভিডিওগুলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেও তা এ সময়ের নয়। পুরোনো মিছিলে নতুন করে কণ্ঠ লাগানো হয়েছে এবং নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানা এলাকা থেকে ভুয়া ও মিথ্যা ভিডিও ছড়ানো হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহপূর্বক আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানায় প্রেরণ করে। এ তথ্যের ভিত্তিতে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানা পুলিশের একটি টিম আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ আরও জানায়, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামি বলেছে, তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নোয়াখালী জেলার ছাতারপাইয়া ইউনিটের কর্মী। গত ৫ আগস্ট থেকে তার নিজস্ব ফেসবুক পেজসহ আরও বিভিন্ন ফেসবুক পেজ খুলে ইচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্নের উদ্দেশ্যে ভুয়া ও মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আসছে।

আরএমপি মুখপাত্র সাবিনা ইয়াসমিন জানান, গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।