মন্ত্রিসভা বুধবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে আরো এক মাস সময় বৃদ্ধি করে ‘ভোটার তালিকা (সংশোধনী) আইন ২০১৯’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক বৈঠকে মন্ত্রিসভা এই অনুমোদন দিল।
আজ বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিংকালে বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে সময় বাড়ানোর জন্য মন্ত্রিসভা আজ ‘ভোটার তালিকা (সংশোধনী) আইন ২০১৯’ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘২০০৯ সালের বিদ্যমান আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। এর লক্ষ্যে হচ্ছে সময়সীমা বাড়ানো। কারণ, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ২৯ দিনের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা কঠিন।
তিনি বলেন, বৈঠকে আগামী ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে ১ মার্চ এ দিবস পালন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, কৃষকরা যেন সুলভ মূল্যে কৃষি সামগ্রী কিনতে পারে ও সহজ শর্তে অল্প অথবা বিনা সুদে ঋণ পেতে পারে সে লক্ষে বৈঠকে ‘জাতীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতি-২০১৯’ এর খসড়ারও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, এই নীতি কৃষি যান্ত্রীকিকরণের আওতা বৃদ্ধিতে এবং একই সাথে মজুর কম লাগায় উৎপাদন খরচ কমাতে সহায়ক হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই নীতির ফলে কৃষি খাতে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত হবে।
বৈঠকে কৃষিজ পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সমবায় পদ্ধতি অন্তর্ভূক্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ প্রতি বছরের ১ মার্চ ‘জাতীয় বীমা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার এবং তৃণমূলের জনগণকে দিবসটি সম্পর্কে অবগত করার লক্ষ্যে দিবসটি যথাযথভাবে উদযাপন করার প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর দেশে বীমা শিল্প চালু করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধু ১৯৬০ সালের ১ মার্চ বীমা কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন বলে সভায় ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এই শিল্পের প্রসারে বঙ্গবন্ধু ‘বাংলাদেশ বীমা জাতীয়করণ আদেশ ১৯৭২ ও ইনস্যুরেন্স কোঅপারেশন অ্যাক্ট ১৯৭৩’ প্রণয়ন করেন।