ময়লার গাড়িতে হামলায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলা চলবে
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০১২ সালে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হবে বলে নিউজ পোস্টকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন।
আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ দিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিয়ন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ আটজনের নামে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাটি এখন সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। পরে ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত রোববার (১৫ অক্টোবর) হাইকোর্টে আবেদন করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- যুবদলের নেতা আজিজুল বারি হেলাল, সাইফুল ইসলাম নীরব, মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে বাবু, কাজী রেজাউল হক বাবু ওরফে জিম বাবু, খন্দকার এনামুল হক এনাম ও জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগের চালক মো. আয়নাল প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইস্কাটনের মিন্টো রোড থেকে ময়লা নিয়ে গাড়ি চালিয়ে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে যাচ্ছিলেন।
কাকরাইল থেকে বিজয়নগরের দিকে এলে মির্জা ফখরুল ইসলাম ও রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ২০০-২৫০ জন গাড়ি থামিয়ে হেলপারকে মারধর, ককটেল বিস্ফোরণ এবং গাড়িও ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় ওইদিনই পল্টন থানায় মামলা করে পুলিশ।
মামলাটি তদন্ত করে মতিঝিল জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর নয়জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের পর আসামি শফিউল বারী বাবু মারা যাওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।২০২২ সালের ১২ জুন আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আলোচিত এ মামলার বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন।