ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বাসা-বাড়িসহ আশপাশ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানিয়ে নব-নির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘মশা নিধন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যে আমি এ ব্যাপারে প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরদের সাথে কথা বলেছি। মনিটরিং করছি। তাদের প্রধান দায়িত্ব এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয় মনিটরিং করা। মশা নিধন কর্মীদের মনিটরিং করে খোঁজ-খবর নিতে হবে। তারা তাদের নির্ধারিত এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে কিনা। আমাদের নির্দেশনা তারা মানছে কিনা।’
আজ শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-মশা ক্ষুদ্র, কিন্তু এর বিরক্ত অনেক বড়। তাই মশা নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। সবাই মিলে কাজ করলে কোন কিছুই অসম্ভব নয়। সবার প্রচেষ্টায় একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা শহর গড়ে তুলতে চাই।’
নব-নির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘পরশুদিন থেকেই সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে মশা নিধনের কার্যক্রম মনিটর করা হবে। পাশাপাশি প্রতিটি এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিও মনিটর করা হবে। আমাদের দেশে আইন আছে, ফাইন নেই। কিন্তু উন্নত দেশে বাড়িঘর ও আশপাশ এলাকা নোংরা থাকলেই ফাইন করা হয়। তারা পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন, তারপরও ফাইনের ভয়ে সবসময় বাড়িঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন।
তিনি আরো বলেন, ‘উত্তর সিটি করপোরেশনের যেখানে অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতা পাওয়া যাবে, সেখানেই ফাইন করা হবে। অনেকেই বাড়ির মধ্যে ময়লা-আবর্জনা স্তূপ করে রাখেন। গত বছরও আমরা ডেঙ্গু মৌসুমে ময়লা-আবর্জনা জমিয়ে রাখা বাড়িতে ফাইন করেছিলাম। এবারও এটি অব্যাহত থাকবে।’
এজন্য তিনি তার সকল কাউন্সিলরদেরকে সকাল ও বিকাল দু’বেলাই মশা নিধন কার্যক্রম মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেন।
মেয়র বলেন, ‘গত ডেঙ্গু মৌসুমে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দলমত নির্বিশেষে আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধে একযোগে কাজ করেছিলাম। এবারও আমার সবাই মিলেমিশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে মশা নিধন করবো ইনশাল্লাহ।
এর আগে বিকাল ৩ টায় মেয়র আতিকুল ইসলাম টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে তিন ধাপে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তারা পবিত্র ফাতেহা পাঠ করেন। ফাতেহাপাঠ শেষে মেয়র ও কাউন্সিলররা বঙ্গবন্ধুর জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।