
ডেস্ক রিপোর্ট:
মালদ্বীপে ডলার কনভারশনে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি প্রবাসীরা। দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের শীর্ষে থাকা ৩০ দেশের তালিকায় ২১তম স্থানে রয়েছে দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ। কিন্তু দেশটিতে নেই কোনো বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা। তবুও গত অর্থবছরের তুলনায় এবার প্রায় ৭৫% শতাংশ বেশি রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে মালদ্বীপ থেকে।
মালদ্বীপে বাংলাদেশের কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা না থাকায়, প্রবাসীদের দেশে টাকা পাঠাতে হয় মানি এক্সচেঞ্জগুলোর মাধ্যমে। সেটাও আবার মার্কিন ডলার দিয়ে। বেশিরভাগ শ্রমিক রুপিয়াতে বেতন পাওয়ায় তাদের কালোবাজার থেকে ডলার কিনতে হয়। প্রবাসীরা স্থানীয় মুদ্রা রুপিয়া থেকে ডলার কনভার্টের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে তিন থেকে চার রুপিয়া লোকসান গুণতে হয়। যার ফলে ডলার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ঝামেলা এড়াতে কেউ কেউ বেছে নেয় অবৈধ হুন্ডির আশ্রয় আবার কেউবা অনিয়মিত থাকার ফলে বৈধভাবে টাকা পাঠাতে পারছে না।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মালদ্বীপ থেকে রেমিটেন্স পাঠানো হয়েছে প্রায় ৬৭১ কোটি টাকার সমপরিমাণ ইউএসডি ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম ৬ মাসেই মালদ্বীপ থেকে রেমিটেন্স গেছে প্রায় ৮২৬ কোটি টাকার সমপরিমাণ ডলার। যাহা গত অর্থ বছরের তুলনায় ৭৫% রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে।তবে মালদ্বীপে ব্যাংক খোলার ক্ষেত্রে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজ।
মালদ্বীপের শ্রমবাজারের শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। অদক্ষ কর্মীদের পাশাপাশি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন বাংলাদেশিরা। রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রাখতে মালদ্বীপ সরকারের বাড়তি সতর্কতার ফলে বৈদ পথে রেমিটেন্স প্রেরণের সহায়ক ভূমিকা রেখেছেন মনে করেন দেশটিতে অবস্থিত বিভিন্ন মানি ট্রান্সফার কোম্পানিগুলো।
মালদ্বীপে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা স্থাপন করলে যেমন প্রবাসীদের সমস্যার সমাধান হবে তেমনিভাবে অবৈধ হুন্ডির অপতৎপরতা বন্ধ হবে বলে মনে করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।