নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে তার চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দেওয়া তার এই আল্টিমেটামকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বিষয়টিকে ‘পলিটিক্যাল স্ট্যান্টবাজি’ বলে দাবি করেছেন। তবে এই আল্টিমেটামকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনও ধরনের নাশকতামূলক, কিংবা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াতে না পারে, সে ব্যাপারে অগ্রিম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিএমপি সূত্র বলছে, রাজনৈতিক কোনও আল্টিমেটামকে কেন্দ্র করে, কিংবা রাজনৈতিক কোনও বিষয়কে সামনে রেখে কেউ যদি কোনও ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এমনকি পুলিশ বাহিনীকে উসকে দিয়ে কেউ যেন ফায়দা নিতে না পারে, সে বিষয়েও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। ডিএমপির সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডিসিদের তদারকি করতে বলা হয়েছে।
সূত্র বলছে, মির্জা ফখরুলের দেওয়া আল্টিমেটাম মূলত সরকারের ওপর বিএনপির চাপ সৃষ্টির কৌশল। এছাড়া সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপিও সরকারকে চাপে রেখে এর সুযোগ নিতে চাইছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছে— এমন তথ্য উঠে আসলেও কারও নাম প্রকাশ না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যেই কিছুটা অস্বস্তি বিরাজ করছে। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, বল প্রয়োগ ছাড়া কীভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নিবৃত করা যায়, সেসব বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে বাহিনীর সদস্যদের বার্তা পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের সূত্র জানায়, যাদের বিরুদ্ধে মামলা কিংবা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রাখার অংশ হিসেবে ওয়ারেন্ট তামিল করাও বাহিনীর অন্যতম দায়িত্ব। যাদের রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে, সুতরাং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘আল্টিমেটামকে কেন্দ্র করে কেউ যদি কোনও ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।