মির্জাপুরে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে টিলা, আঞ্চলিক রাস্তাগুলোর বেহাল দশা

প্রকাশিত: ১:১১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২৫

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

 

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাটি বহনকারী ড্রাম ট্রাক চলাচলে বেহাল অবস্থা এলজিইডির অধীনে এলাকার আঞ্চলিক রাস্তা ঘাট, ব্রিজ ও কালভার্টগুলোর। অবৈধভাবে মাটি কেটে নেওয়ায় রাস্তাঘাটের এমন অবস্থা বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।

তাদের দাবী ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি বহন করে নেওয়ায় এলাকার রাস্তাঘাটের যেমন ক্ষতি হচ্ছে। আবার কেউ প্রতিবাদ করলেই মাটি খেকোরা নানা ভাবে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

স্থানীয়রা জানান, একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চল আজগানা, লতিফপুর, তরফপুর, গোড়াই ও বাঁশতৈল এই পাঁচ ইউনিয়নের পাহাড়ের টিলার লালমাটি অবৈধভাবে কেটে নিচ্ছে। এবারের মৌসুমের শুরু থেকেই পাহাড় ও নদীর মাটি কেটে দিন ও রাতে অনবরত ট্রাক দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, প্রভাবশালীরা এলাকার অসহায় লোকজনকে জিম্মি করে পাহাড়ের লাল মাটির টিলা ও ফসলি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে। মাটি কাটা বন্ধের জন্য কেউ বাঁধা দিলে তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি এবং মামলার ভয় দেখানো হয়। সন্ধ্যার নামার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পাহাড় কাটার মহোৎসব। প্রতি রাতে শতাধিক ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়ায় এলাকার রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এতে ১৫-২০ টি আঞ্চলিক রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সবমিলিয়ে উপজেলার উফুলকী, গুনটিয়া, মাঝালিয়াসহ ৩০-৪০ স্পটে চলছে মাটি চুরির মহোৎসব।

এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, একটি মহল বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ভাবে মাটি চুরি করে ড্রাম ট্রাক দিয়ে বহন করায় এলজিইডির অধীনে গ্রামীণ আঞ্চলিক রাস্তাঘাট ও ব্রিজ কালভার্টের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। অভিযানের পরও থামছে না। তাদের এমন কারচুপিতে প্রশাসন অসহায় হয়ে পরেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবি এম আরিফুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান বলেন, বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাটি বহন করার ট্রাক জব্দ ও অন্তত অর্ধ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এই দুই কর্মকর্তা আরও বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় দিন ও রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু হচ্ছে এবং তাদের অভিযান চলমান থাকবে বলে।