মুজিববর্ষে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে ১৬ লাখ টাকা অথবা একই মূল্যমানের বিল্ডিং দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ ছাড়া গৃহায়ণ নিশ্চিতসহ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে স্থানীয় জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে এক মত বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।
advertisement
সারা দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা যাতে বিনা টিকিটে পরিবহন সুবিধা পান সে লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে স্মার্টকার্ড প্রদানের কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বৃদ্ধিতে মুজিববর্ষে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার, যা আগে কোনো সরকার করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে একজন মুক্তিযোদ্ধা ১০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন। মুজিববর্ষের জুলাই মাসে এ সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করে ১৫ হাজার কিংবা এর বেশি করার কার্যক্রম চলছে মন্ত্রনালয়ে। ২৩০০ কোটি টাকার নতুন বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে।’
advertisement
মন্ত্রী জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্মরণীয় স্থান ও দেশের বদ্ধভূমিগুলো সংরক্ষণের কর্মসূচিও হাতে নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়।
যুদ্ধাপরাধী তালিকা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে। এতে কোনো লাভ হবে না। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নির্ভুল একটি তালিকা করা হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম প্রমুখ।