আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তিনি বলেন, ‘‘এই ইস্যুটি মুসলমানদের নিয়ে নয়। মোদির প্রতি মুসলমানরা যতই সমর্থনকারী হোক না কেন, তাদের মনে একটা চিন্তা কাজ করে, যা তাদের নির্দেশ দেয়, এটা করুন, সেটা করুন। আমার বাড়িতে, আমার চারপাশে সব মুসলিম পরিবার রয়েছে। আমাদের বাড়িতে ঈদও উদযাপন করা হয়। অন্যান্য উৎসব আমাদের বাড়িতে পালন করা হয়। ঈদের দিন আমাদের বাড়িতে খাবার রান্না হয় না। সব মুসলিম পরিবার থেকে আমার বাড়িতে খাবার আসে। মহররম শুরু হলে তাজিয়ার নিচে হাঁটতে হবে বলে আমাদের শেখানো হয়েছিল। আমি সেই পৃথিবীতে বড় হয়েছি। আজও আমার অনেক মুসলমান বন্ধু রয়েছে। ২০০২ (গোধরা দাঙ্গা) এর পর আমার ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হয়েছে।’’
দেশটিতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে মুসলিমরা তাকে ভোট দেবে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘দেশের মানুষ আমাকে ভোট দেবে। আমি যেদিন হিন্দু-মুসলিম করে দিনের শুরু করবো, সেদিন আমি জনজীবনে থাকার যোগ্যতা হারাবো। আমি হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি করবো না। এটা আমার অঙ্গীকার।’’
এর আগে, দেশটির রাজস্থান প্রদেশে এক সমাবেশে নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করে বলেন, কংগ্রেস মানুষের সোনা ও সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে ‘‘যাদের বেশি সন্তান আছে’’ তাদের মাঝে বিতরণ করতে চায়। পরে ওই ভাষণের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে কংগ্রেসসহ দেশটির অন্যান্য কয়েকটি বিরোধী দল নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানায়। এই বিষয়ে মোদি বলেছেন, কংগ্রেস একটি জরিপ চালাবে এবং সেই অনুযায়ী এমনকি নারীদের মঙ্গলসূত্রও ছাড়বে না তারা।
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের বারাণসী লোকসভা আসন থেকে নিজের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির ক্ষমতায় টানা তৃতীয় মেয়াদে আসার জন্য ওই আসন থেকে লড়ছেন তিনি। সেখানে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় পাবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছেন ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী।