কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
ভৈরবের মেঘনায় বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি যাত্রীবাহী ভ্রমণতরি ডুবে অজ্ঞাত এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশসহ নিখোঁজ রয়েছেন ৮ জন।
ভৈরবের মেঘনায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু এলাকায় শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন ভৈরব নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুনিরুজ্জামান ও ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রানা। রাতে উদ্ধার অভিযান বন্ধ থাকলেও আজ শনিবার সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া ভৈরবের আমলাপাড়ার ফল ব্যবসায়ী ঝন্টু দের মেয়ে সুস্মিতা দে জানিয়েছেন, কটিয়াদী থেকে তার পিসে মশাই বেলন দে পরিবার নিয়ে তাদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার বিকালে সুস্মিতা দে, তার মা রুপা দে, দাদি বিভা দে, পিসে মশাই বেলন দে, পিসি ছবি দে, পিসতুতো ভাই অপূর্ব দে ও চাচাতো বোন আরাধ্যা দে মেঘনার পাড়ে বেড়াতে যান। সেখান থেকে সুস্মিতা, মা রুপা দে, পিসে মশাই বেলন দে, পিসতুতো ভাই অপূর্ব দে এবং চাচাতো বোন আরাধ্যা দে একটি ভ্রমণ তরিতে উঠে নৌভ্রমণে যান। ভ্রমণ তরিতে অন্তত ২০ জন যাত্রী ছিলেন।
ফেরার পথে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সৈয়দ নজরুল সেতু এলাকায় ভ্রমণতরির চালকের অসতর্কতায় একটি বালু বোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এসময় স্থানীয়রা ১২ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজদের মধ্যে আছেন সুস্মিতার মা রুপা দে, পিসে মশাই বেলন দে ও চাচাতো বোন আরাধ্যা দে। এছাড়া ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি, মেয়ে মাহমুদা ও ছেলে রাইসুল এবং নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার নামে একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন নৌ থানার ওসি মুনিরুজ্জামান।
মৃত উদ্ধার করা অজ্ঞাত নারীর মরদেহ ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা আছে। এ ছাড়া তোফাজ্জল হক (২২) নামে স্থানীয় এক আহত যুবককে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।এখন নিখোঁজদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। তবে ভৈরব ফায়ার সার্ভিস দলের সাথে যোগ দিতে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস থেকে ডুবুরি দল গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রানা।