ডেস্ক রিপোর্ট:
ভারতের মেঘালয়ে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ গারো পাহাড় জেলার গাসুয়াপাড়া অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে।
ভূমিধসে সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি ঘটে হাটিয়াসিয়া সঙমা গ্রামের এক পরিবারের সাত সদস্যের মৃত্যুতে, যাদের মধ্যে তিনজনই শিশু। বাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়লে প্রাণ হারান তারা।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা টানা বৃষ্টিপাত ও এর প্রভাব নিয়ে গারো পাহাড়ের পাঁচটি জেলার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। তিনি দালু ও হাটিয়াসিয়া সঙমা গ্রামে ভূমিধসে নিহতদের পরিবারগুলোর প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
এনডিআরএফ (জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী) এবং এসডিআরএফ (রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী) উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টির ফলে গাসুয়াপাড়া অঞ্চলে একটি সেতু ভেসে গেছে। পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সাংমা দ্রুত মেরামত ও পরিবহনের জন্য বেইলি সেতু প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এছাড়া, মেঘালয়ের সব কাঠের সেতু চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেগুলো নতুনভাবে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন স্থানে ভূমিধসের কারণে দালু থেকে বাঘমারা পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিকল্প পথ চিহ্নিত করে সড়ক যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় থেকে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।