নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘মেট্রোরেলের ভেতর এক খণ্ড ফার্মগেটের চিত্র’ দেখা যাচ্ছে মন্তব্য করে মিরপুর ১০ থেকে আসা যাত্রী শামীম বলেন, যেইভাবে সেইভাবে বিজ্ঞাপন লাগাইছে তাতে তো আমার কাছে এইটারে চলন্ত ফার্মগেট মনে হইতাছে। সৌন্দর্যটাই নষ্ট করে দিছে। আরও প্ল্যান কইরা বিজ্ঞাপন দিলে ভালো হয়।
মেট্রোরেলের জন্য বিশেষভাবে বিজ্ঞাপন তৈরির পরামর্শ দিয়ে আবু সাইদ নামে আরেক যাত্রী বলেন, মেট্রোরেলে সাধারণ মানুষের যান, প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ এতে করে চলাচল করবেন। সেখানে প্রচারণার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়। তবে যেহেতু বিভিন্ন চিন্তাধারার মানুষও থাকবে, সবার কথা চিন্তা করে মেট্রোরেলের জন্য বিশেষভাবে বিজ্ঞাপন বানাতে পারে প্রতিষ্ঠানগুলো। আবার এরকমভাবে যেন যেখানে সেখানে বিজ্ঞাপন না বসানো হয়। দেখতে ভালো লাগে না। সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
বিজ্ঞাপনের বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড কোম্পানি সচিব (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, আমরা আইন সম্মতভাবে মিডিয়া কমকে এক বছরের জন্য বিজ্ঞাপনের জন্য ট্রেন্ডারের মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়েছি। আমাদের ডিসপ্লেতেও বিজ্ঞাপন প্রচার হবে। মেট্রোরেলে বিজ্ঞাপন- এটি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের আয়ের একটি উৎস। সারা বিশ্বেই এটা আছে। আয় না হলে যাত্রীদের ভাড়ার খরচ বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু শর্ত আছে। আমরা এখন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখবো কীভাবে এই শর্তগুলোকে যাত্রীবান্ধব হয়। কারণ যাত্রীদের জন্যই তো আমরা। যাত্রীদের কাছে খারাপ লাগে এমন কিছু আমরা অবশ্যই করবো না। যেই বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে তা আমরা আরও বিস্তারিত দেখবো কেন সৌন্দর্যহানি হলো, কী করলে আরও ভালো হবে।