চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সবুজ নামের এক যুবকের আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার সকালে উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর এলাকার গজারিয়া মাঠের একটি মেহগনি বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর সার্কেল আনিসুজ্জামান লালন ও থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মাসুদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সবুজ (২২) উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের গরু ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আলীর ছেলে।

আটক দুই যুবক হলেন, পৌর এলাকার বন্ডবিল গ্রামের জিহাদ (২৫) ও বাদেমাজু গ্রামের সৈকত (২৭)। তারা দুজন নিহতের সঙ্গে পুরাতন মোটরসাইকেল কেনাবেচা করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে কৃষকেরা ধানক্ষেতে কাজ করতে যান। এসময় বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের গজারিয়া মাঠের মেহগনি বাগানে পৌঁছালে আগুনে পোড়া একটি মোটরসাইকেল ও তার নিচে এক যুবকের পোড়া মরদেহ দেখতে পান তারা। তাদের চিৎকারে পথচারীরা ছুটে এসে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের বন্ধু মশিউর সমকালকে জানান, বুধবার বিকেলে সবুজ বাড়ি থেকে বের হন। সন্ধ্যায় মুঠোফোনে কথা হলে তিনি মোটরসাইকেল বিক্রি করছেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন। রাত ৯টায় সবুজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে সবুজ বাড়িতে না ফিরলে তার চাচা খুঁজতে মশিউরের বাড়িতে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারেন সবুজের পোড়া দেহের খোঁজ মিলেছে।

আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) মাসুদুর রহমান সমকালকে বলেন, মরদেহের পুরোটা আগুনে পুড়ে গেলেও দুটি হাত ও পা অবশিষ্ট অবস্থায় পাওয়া যায়। সবুজের পরিবার পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল ও শরীরের গঠন দেখে তার মরদেহ শনাক্ত করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর সার্কেল আনিসুজ্জামান লালন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া সিআইডি ও পিবিআইয়ের সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।