স্পোর্টস ডেস্ক রিপোর্টঃ
তিন দিনের ব্যবধানে আরও একবার শেখ রাসেলকে হারিয়েছে মোহামেডান। আগের বার হারিয়েছিল ২-১ গোলে। গতকাল প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান ৩-১ গোলে হারিয়েছে শেখ রাসেলকে। প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানই একমাত্র দল, এখনো হারেনি। কোচ আলফাজ আহমেদ এখনো দলটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বসুন্ধরা কিংসের মতো সবচেয়ে বড় বাজেটের দল মোহামেডানের কাছে হেরেছে এবার।
কিংস ড্র করেছে শেখ রাসেলের বিপক্ষে। পয়েন্ট টেবিলে আবাহনীর ওপরে মোহামেডান। সেটা নিয়ে ভাবনা নেই। কোচ আলফাজের ভাবনাটা অন্য জায়গায়। পাঁচ জয়ের সঙ্গে ড্র আছে ৬টা। এখানে একটা ম্যাচে জয় থাকলে টেবিলের অবস্থানটা আরো ভালো হতো। বিপরীত দিক থেকে চিন্তা করলে আফসোস করতে রাজি নন আলফাজ। যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখনকার চেয়ে এখন অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছেন। সমর্থকেরা দেখেছেন, আগের তুলনায় এখন ভালো কি না। আলফাজ বললেন, ‘ফুটবলে এটাই হয়।’ কাল ম্যাচ শেষেই খেলোয়াড়দের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ফিরতে বলা হয়েছে ১৩ এপ্রিল, অনুশীলন শুরু হবে সেদিন। পরবর্তী খেলা ২০ এপ্রিল, ব্রাদার্সের বিপক্ষে।
কাল ৩৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন মোহামেডানের অধিনায়ক গিনির ফুটবলার সুলায়মান দিয়াবাতে, ১-০। প্রথমার্ধেই পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করেন শেখ রাসেলের সার্বিয়ান ফুটবলার বালাবানভিচ, ১-১। মোহামেডনকে জয়ের পথে নিয়ে গেছেন উজবেক ফুটবলার মোজাফফরভ (২-১) ও জাফর ইকবাল, ৩- ১। আক্রমণভাগের শক্তি দিয়াবাতে, মোজাফফরভ প্রতি ম্যাচেই দারুণ পারফরম্যান্স করে আসছেন। নিজে গোল করা কিংবা গোল করানোর কাজ করছেন। এই ম্যাচে লাল কার্ড হয়েছে দুটি।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে শেখ রাসেলের কোচকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়। রেফারি আলমগীর সরকারের একটি সিদ্ধান্তকে লক্ষ্য করে শেখ রাসেলের বুলগেরিয়ান কোচ যুগোস্লাভ বাজে অঙ্গভঙ্গি করেন, পানির বোতলে লাথি মারেন এবং বাজে ভাষা ব্যবহার করেন। রেফারি তার চতুর্থ রেফারির সঙ্গে কথা বলে শেখ রাসেলের কোচকে লাল কার্ড দেখান। খেলার শেষ দিকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা মোহামেডানের মেহেদীর ফাউলে শেখ রাসেলের গিনির সেকৌ শিল্লা মাটিতে পড়ে গেলে উঠে গিয়েই মেহেদীকে চড় মারেন। রেফারি আলমগীর সরকার লাল কার্ড দেখান সেকৌ শিল্লাকে।
শেখ রাসেল নিজেদের হোম ভেন্যুতে সুযোগ পেয়ে মোহামেডানের সঙ্গে নিজের পারফরম্যান্স বদল করতে পারল না। অথচ এই শেখ রাসেল কীভাবে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করল, সেটাই প্রশ্ন। বসুন্ধরা কিংস গোল হজম করে গোল শোধ করেছিল কিংসের মাঠে। ১১ খেলায় শেখ রাসেলের জয় মাত্র ২টি। তিন দিনের ব্যবধানে যে দলটি নিজেদের ভুল শোধরাতে পারে না, আরও বড় ব্যবধানে হারে, সেই দল কীভাবে কিংসের মতো বড় দলের বিপক্ষে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল, ম্যাচ ড্র করল! কীভাবে হলো, সেটা কর্মকর্তারাই ভালো বলতে পারবেন।
গোপালগঞ্জে শেখ জামাল ও পুলিশের ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। ভেনেজুয়েলার ফুটবলার এডওয়ার্ড এনরিখ মোরিল্লোর গোলে এগিয়ে গেলেও শেখ জামালের সেনেগালের ফুটবলার আবু তোরের জোড়া গোলে এগিয়ে যায়। ৭৪ মিনিটে পুলিশের আল আমিন গোল করে হার বাঁচিয়েছেন। লিগের পরবর্তী খেলা ১৯ এপ্রিল, আবাহনী-শেখ জামাল। গোপালগঞ্জে।