যাত্রাবাড়ীতে বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে যুবদলের ৪ নেতা গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১০:১৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০২৩

সাইফুল ইসলাম:

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মৌমিতা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় যুবদলের ৪ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঘটনার পরপরই তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ। এরা হলো- ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সেক্রেটারি মো. দুলু (৪৪), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য মো. জয়নাল আবেদীন (৩৮), মো. আব্বাস আলী (৩২) ও মো. আব্দুল লতিফ বিপ্লব (৩৩)। আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় যুবদলের চারজন নেতাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে ডিবি। সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে তারা আগুন লাগায়। এরপর ৭টা ৪০ মিনিটে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা সবাই যুবদলের নেতা, এটা তারা স্বীকার করেছেন। তাদের পদ-পদবিও আছে। আবার তারা যে আগুনটা লাগিয়েছে, সেটির ছবি নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন এবং অন্যান্য নেতাদের পাঠিয়েছেন।

ডিবি প্রধান বলেন, কর্মীদের প্রতি বিএনপি নেতাদের নির্দেশ হলো, বাসে আগুন লাগাতে হবে এবং সেটা তাদের বড় ভাইদের ছবি তুলে পাঠাতে হবে। সেই নেতারা আবার তাদের বড় ভাইদের কাছে পাঠায়। যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা আরও কোথায় কোথায় আগুন লাগিয়েছে তা আমরা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। তাদের সঙ্গে আরও কে কে জড়িত তা জেনে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

কেন বাসে আগুন দেওয়া আটকানো যাচ্ছে না এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের বিচ্ছিন্ন একটি জায়গায় ককটেল নিক্ষেপ করা বা একটা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া বিষয়টা জনমনে তেমন প্রভাব পড়ে না। সাময়িকভাবে হয়তো একটা প্রভাব পড়ে। এ কারণেই দেখা যাচ্ছে অবরোধেও ঢাকা শহরে যানজট। অবরোধ যে আছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে না। বিচ্ছিন্নভাবে ককটেল বিস্ফোরণ এবং বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অনেকে গ্রেফতার হয়েছে।

বিএনপিকে বিস্ফোরক দ্রব্য কারা দিচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে যুবদলের নেতা আবু সাইদ মিন্টুকে গ্রেফতার করার পর আমাদের কাছে এবং আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে যে যুবদলের নেতারাই এসব ককটেল বানাচ্ছে। কুমিল্লা থেকে এবং সীতাকুণ্ড থেকে তারা এসব ককটেলের উপাদান নিয়ে আসে। আর এসবের জন্য টাকা দেয় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক। আর যুবদলের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এসব ককটেল বানায়। এরপর তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় এগুলো সরবরাহ করে। এসবের সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম আমরা পেয়েছি। তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হবে।