যাত্রী ছদ্মবেশে বাসে উঠে যাত্রীর সর্বস্ব লুটে নিতো ওরা

প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২৩

মো. সাইফুল ইসলাম:

ওরা সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র। ওরা যাত্রীবেশে বাসে উঠে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসে থাকে বিভিন্ন সিটে। এরপর নানা কৌশলে সখ্যতা গড়ে অচেতন করে ওরা যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব লুটে নিয়ে নির্বিঘ্নে চম্পট দিতো। এমনই একটি চক্রের সক্রিয় ৫ সদস্য ধরা পড়েছে। ওদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চেতনানাশক ওষুধ এবং বিস্কুট।এরা হলো- রংপুরের মো. ফুল মিয়া (৪৯), গাইবান্ধার এনামুল শেখ (৩৫), আবু মুসা (৩০), আহাদ আলী (২৪) ও টাঙ্গাইলের আ. রহিম (৩৮)। আজ শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে নিউজ পোস্ট বিডিকে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক এএসপি (মিডিয়া) মাজহারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আজ রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ অজ্ঞানপার্টির প্রধান ফুল মিয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫০টি চেতনানাশক ট্যাবলেট ও ৫ প্যাকেট বিস্কুট উদ্ধার করা হয়।

মাজহারুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর দারুসসালাম থানার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ অজ্ঞানপার্টি চক্রের প্রধানসহ ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা অজ্ঞানপার্টি চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছে। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে যাত্রীর ছদ্মবেশে দূরপাল্লার পরিবহনে উঠে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। পরে কৌশলে চেতনানাশক ওষুধ মিশ্রিত বিস্কুট বা পানি পান করিয়ে তাদের সর্বস্ব লুট করে নেয়।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক যাত্রী গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে যাতায়াত করবে বিধায় তারা পুনরায় সাধারণ মানুষকে চেতনানাশক প্রয়োগ করে সর্বস্ব লুট করার পরিকল্পনা করে আসছিল বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।