ক্রীড়া ডেস্ক:
দীর্ঘদিনের চেনা চিত্রটা আজকের পর থেকে আর দেখা যাবে না কখনোই। টিম সাউদি আর ছুটবেন না নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সাদা জার্সিটা নিয়ে। হ্যামিল্টনে ৪২৩ রানের রেকর্ড জয়ের মাধ্যমেই শেষ হলো সাউদির টেস্ট অধ্যায়। যাদের কাছে হেরে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, সেই একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয়ে শেষ হলো নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের কিংবদন্তি বনে যাওয়া এই পেসারের টেস্ট অধ্যায়।
ক্যারিয়ারের শেষ দিনেও সাউদি পেয়েছেন উইকেটের দেখা। আগের দিন বেন ডাকেটকে বোল্ড করে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম উইকেট এনে দিয়েছিলেন সাউদি। আর আজ পেয়েছেন জ্যাকব বেথেলের উইকেট। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে গ্লেন ফিলিপসের ক্যাচ হয়ে সাউদির টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৯১তম শিকার হয়েছেন বেথেল।
৩৯১ উইকেটেই থামলো সাউদির বর্ণাঢ্য এই টেস্ট ক্যারিয়ার। বিদায়ের পর কখনো নিজের পরিসংখ্যান দেখলে হয়ত আক্ষেপই করবেন সাউদি। আর মাত্র ৯ উইকেট হলেই যে দারুণ এক মাইলফলক ছুঁতে পারতেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে টেস্টে ৪০০ উইকেট আছে শুধুই স্যার রিচার্ড হ্যাডলির। ৪৩১ উইকেট পেয়েছিলেন হ্যাডলি। সাউদি আর ৯ উইকেট পেলেই হতো বিশেষ রেকর্ড। ক্রিকেটের ইতিহাসে মোট ১৭ জন বোলার পেয়েছেন ৪০০ টেস্ট উইকেট। যার মধ্যে পেসার আছেন পেসার আছেন ১০ জন। সাউদির সামনে সুযোগ ছিল সেই এলিটদের একজন হওয়ার। সেটা না হওয়ার আক্ষেপ নিয়েই বিদায় বলতে হচ্ছে তাকে।আরও একটা রেকর্ডের খুব কাছ থেকে ফিরেছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে খুবই বিরলতম এক রেকর্ডে নিজের নাম লেখানোর সুযোগ ছিল তার সামনে। বেন স্টোকস, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আর অ্যাডাম গিলক্রিস্ট– টেস্ট ইতিহাসে মাত্র তিন ক্রিকেটারের আছে ১০০ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড। সেই তালিকায় ঢুকতে পারতেন সাউদি নিজেও। পরিপূর্ণ বোলার হয়েও তার নামের পাশে ৯৮ ছক্কা। ১০৭ টেস্টে ১৫৬ ইনিংসে ২ ছক্কা না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়েই তুলে রাখলেন নিজের ব্যাটটা। বিদায়ী ইনিংসে করেছেন ২ রান। সাউদির পর রোহিত শর্মা এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ব্যাট থেকে টেস্ট ফরম্যাটে এসেছে ৮৮টি ছক্কা। এরপরেই আছেন ঋশাভ পান্ত ও রবীন্দ্র জাদেজা। তাদের ছক্কা ৬৮টি করে।
সাউদি যে অনেকটা এগিয়ে ছিলেন সমসাময়িক বাকিদের চেয়ে, সেটা এসব নামই হয়ত বুঝিয়ে দিতে যথেষ্ট।