নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর
রংপুরের পীরগঞ্জে বাস ডাকাতির ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিয়া সুলতানা।
আটককৃতরা হলেন- পীরগঞ্জের আগাচতরা গ্রামের ফিরোজ মিয়া (২৮), জয়পুর গ্রামের মেহেদী হাসান (২৫), বড় আলমপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৩৮), বড় গোপীনাথপুর গ্রামের শাহজাহান আলী (৩০) এবং ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত স্বর্ণ ক্রয়কারী চতরা গ্রামের মনোয়ার হোসেন মজিন (৩৮)।
এর আগে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে রংপুরের পীরগঞ্জ এবং গাইবান্ধার পলাশবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ছয়টি ধারালো চাকু, তিনটি স্মার্ট ফোন এবং ডাকাতদের ব্যবহৃত পাঁচটি বাটন ফোন ও লুট করা স্বর্ণ সদৃশ এক জোড়া কানের দুল উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিয়া সুলতানা জানান, ডাকাতদল গত ১২ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে গাজীপুরের চান্দুরা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী হিসেবে ছদ্মবেশে বাসে ওঠে। এরপর রাত ১টার দিকে বগুড়ার শেরপুর ফুড ভিলেজে যাত্রাবিরতির সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী আন্তঃজেলা বাস ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য ফিরোজ, মেহেদী, মোহাম্মদ আলী এবং শাহজাহান আলীসহ তাদের সহযোগী আরও চারজন ডাকাতির সুযোগ খুঁজতে থাকে।
একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে পীরগঞ্জ থানাধীন লালদিঘী ওভার ব্রিজ পার হয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা বাসের ড্রাইভার, হেলপার, সুপারভাইজারসহ বাস যাত্রীদের ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে এবং বাসটিকে তারা নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় ডাকাতরা ধারালো চাকুর ভয়ভীতি দেখিয়ে ৮টি স্মার্ট ফোন, বাটন ফোন ৮/১০টি, নগদ ৪২ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার পীরগঞ্জ থানায় ডাকাতির মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
রাজিয়া সুলতানা আরও জানান, আটকরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পলাতক ডাকাত সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ আটককৃতদের ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী। এ সময় অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন