করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে ‘কঠোর লকডাউনের’ দ্বিতীয় দিন। লকডাউনে রাজধানীর পাড়া-মহল্লার গলির বেশিরভাগ চায়ের দোকান খোলা থাকতে দেখা যায়।
এসব দোকানের সামনে স্থানীয় এলাকাবাসীদের চলছে আড্ডা। টহলে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ির রাউন্ড দেখলেই স্থানীয়রা অলিগলিতে পালিয়ে যান।
শুক্রবার (০২ জুলাই) লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, লালবাগ এলাকার পাড়া-মহল্লা ও বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
কামরাঙ্গীরচর এলাকার বাসিন্দা শাহিনকে ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, চা খেতে বের হয়েছি। বাসায় থাকতে বিরক্ত লাগছে, তাই একটু দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছি।
কামরাঙ্গীরচরের ৩নং গল্লিতে বসে কয়েক জন আড্ডা দিচ্ছে, তাদের কাছে গিয়ে জানতে চাইলে বলে এক রুমে ৫/৬ জন লোক থাকি কত সময় ঘরে থাকা যায়। কামরাঙ্গীরচরের কয়েকটি গল্লিতে গুরে দেখা যায় লোক লোকারন্য, মনে হয় যেন কোন দলিয় সমাবেশ চলছে। বেশির ভাগ নিন্মবিত্তের মানুষ থাকে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় কাজে কামে যেতে পারছে না বলে সকলে বাসার সামনে অলিগলিতে সময় কাটাতে বের হয়।
হাজারীবাগ কোম্পানিঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায় কয়েক জন তরুন হৈ ছৈ করছে, তাদের কাছে জানতে চাইলে বলে মামা বাসায় থাকতে বরিং লাগছে। তাই আমরা সময় কাটাতে এবং লক ডাউন দেখতে বের হয়েছি।
সেকশন বেড়ীবাদে এসে দেখা যায় বেশ কিছু রিকশা চালক রিকশায় বসে যাত্রীর অপেক্ষায় আছে। তাদের সামনে গিয়ে যানতে চাইলে বলে স্যার কি করুম কন মেসে থাকি। থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাতো করে হয়। সরা দিন দরে বসে থেকে ২/১ যাত্রী ফেলে যদি গাড়ি ভাড়া দিয়ে কিছু থাকে তবে তো বেচে থাকতে পারি।
লালবাগ, শহিদ নঘর, কেল্লার মোড় ঘুরে দেখা যায় চোট খাট দোকান গুলো খোলা। পুলিশ বা আইন শৃংখলা বাহিনীর গাড়ি গুলো দেখলে দোকান বন্ধ করে দেয়।
নবাবগঞ্জ বেড়ীবাঁধ বেশ কয়জন দিনমজুর বসে আছে তাদের বসে থাকার কারন জানতে চাইলে বলেন, আমরা রোজ আনি রোজ খাই তাই ঘরে বসে না থেকে বের হলাম যদি কিছু কাজকাম পাওয়া যায়।