কোভিড-১৯ সংক্রমণের মাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় রজধানীসহ সারা দেশে তিন দিনের সীমিত পরিসরে লকডাউন চলছে। আজ সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে এই বিধিনিষেধ (লকডাউন)। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ থাকবে বলে সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগ) আজ বাসসকে জানান, রাজধানীতে অতি প্রয়োজনীয় যানবাহন, পণ্যবাহী গাড়ি ও রিকশা বাদে সব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তিনি জানান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ি অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে এবং নিয়মিত টহল জোরদার করেছে।
তিনি আরও বলেন, শপিংমল, বাজার, পর্যটন স্পট, হোটেল রেষ্টুরেন্ট এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলি বন্ধ রয়েছে। কেবলমাত্র হোটেল রেঁস্তোরা এবং রেষ্টুরেন্টগুলো অনলাইনের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, নির্দেশনা অনুযায়ি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারি বহনের জন্য নিজস্ব পরিবহন ব্যবহার করতে পারবে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে আজ থেকে ১ জুলাই ভোর ৬ টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কিছু শর্তাবলী সংযুক্ত করে ২৮ জুন সকাল ৬টা থেকে ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।’
নতুন যুক্ত হওয়া শর্তাবলী:
১. সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৩. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধুমাত্র অনলাইন/টেক ওয়ে) করতে পারবে।
৪. সরকারি-বেসরকারি অফিস প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেওয়া করতে হবে।
৫. জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরও প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সম্প্রতি দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সারা দেশে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সুপারিশের আলোকে সারা দেশে নতুন করে বিধিনিষেধ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।