রাজশাহী প্রতিনিধি :
রাজশাহীর ছয়টি আসনে নৌকার প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। মনোনয়নের দৌড়ে বাদ পড়েছেন বর্তমান তিনজন সংসদ সদস্য। এর ফলে রাজশাহী-২, ৩ এবং ৪ আসনে এসেছে নতুন মুখ।
এর আগে রাজশাহী জেলার ছয়টি আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ৪১ জন। এদের মধ্যে চারজন নারী মনোনয়ন তুললেও তারা কেউ মনোনয়ন পাননি।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে নৌকার মাঝি হয়েছেন সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের শেষের দিকে শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। পরের নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়ে তিনি একটানা ২০২৩ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য হিসেবে এই আসনে রয়েছেন। এছাড়া ওমর ফারুক চৌধুরী ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
রাজশাহীর ছয়টি আসনে নৌকার প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। মনোনয়নের দৌড়ে বাদ পড়েছেন বর্তমান তিনজন সংসদ সদস্য। এর ফলে রাজশাহী-২, ৩ এবং ৪ আসনে এসেছে নতুন মুখ।
নতুন মুখ এসেছে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে। এই আসনে নৌকার মাঝি হয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। তিনি বর্তমানে রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা দীর্ঘদিন ধরে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ মনোনয়ন পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। এছাড়া ছাত্রজীবনে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের দুইবারের সাধারণ সম্পাদক ও দুইবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। পরে রাজশাহী জেলা যুবলীগের দুইবারের সাধারণ সম্পাদক ও দুইবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পরে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। অপরদিকে, এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তিনি ছাত্ররাজনীতি করতে গিয়ে কারাবরণ করেন। এ সময় তিন মাস জেলে ছিলেন আসাদ।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ মনোনয়ন পেয়েছেন। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য।
রাজশাহী-৫ আসন থেকে নৌকার মাঝি হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদ দারা। দারা ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হন। এর আগে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন দারা। তিনি পুঠিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। তার বাবা মৃত কাজী আব্দুল আওয়াল ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
রাজশাহী-৬ আসনে নৌকার মাঝি হয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি রাজশাহী-৬ আসনে ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষা ও দারিদ্র বিমোচন বিষয়ক ‘অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ’ এবং এমডিজি, পিআরএসপি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম সংক্রান্ত ‘অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের’ ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শাহরিয়ার আলম ‘সংসদ বাংলাদেশ টিভি’র প্রিভিউ কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের তথ্য, গবেষণা ও প্রচার এবং প্রকাশনা বিষয়ক সাব-কমিটির সদস্য ছিলেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।