রাশিয়ায় সেনা পাঠিয়েছে উ. কোরিয়া, স্বীকার করলেন পুতিন

প্রকাশিত: ৭:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট :

রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সেনা পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে, জবাবে পুতিন বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে রাশিয়ার পারস্পরিক প্রতিরক্ষার সম্পর্ক কীভাবে চলবে তা মস্কোর ওপর নির্ভর করে। এর মধ্য দিয়ে কার্যত বিষয়টি স্বীকার করেছেন পুতিন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এই খবর জানিয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার সেনাদের গতিবিধি নিয়ে একটি উপগ্রহ চিত্রের বিষয়ে এক সাংবাদিক জানতে চাইলে, জবাবে পুতিন বলেন, ‘ছবিগুলো একটি গুরুতর বিষয়। যদি এমন চিত্র থেকে থাকে, তবে তারা কিছু একটা তো করছে।’

এ সময় ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসারিত হওয়ার জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করেন পুতিন। ‍তিনি বলেন, পশ্চিমারা যদি মনে করে, তারা রাশিয়ায় একটি কৌশলগত পরাজয় ঘটাতে পারে, তবে তারা ‘বিভ্রমের মধ্যে রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল, উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনে সম্ভাব্য মোতায়েনের জন্য রাশিয়ায় ৩ হাজার সেনা পাঠিয়েছে, এ বিষয়ে তাদের কাছে প্রমাণও রয়েছে।

তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, পশ্চিমারা ইউক্রেন সংকট বাড়িয়েছে। এসময় ন্যাটো অফিসার ও প্রশিক্ষকরা ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি জড়িত ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।

পুতিন বলেন, ‘আমরা জানি সেখানে কারা রয়েছেন, ন্যাটোভুক্ত ইউরোপীয় কোন দেশ থেকে এবং কীভাবে তারা এই কাজ করে।’

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করেছিল, উত্তর কোরিয়ার সেনারা ইউক্রেনে পৌঁছেছে। তবে ইউক্রেনের মনোবল কমানোর জন্য পুতিন ইচ্ছাকৃতভাবে এমন গুজব ছড়াতে পারেন বলেও সন্দেহ করছিল তারা। এটিও লক্ষণীয়, তিনি যেহেতু এই দাবি অস্বীকার করেননি, সেহেতু বাস্তবে এমনটি করার একটি উচ্চ সুযোগও রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা পরিষেবা বলেছিল, রাশিয়ায় প্রশিক্ষিত উত্তর কোরিয়ার প্রথম ইউনিটগুলো কুরস্ক অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছিল। এটি রাশিয়ার সীমান্ত এলাকা যেখানে আগস্টে একটি বড় আগ্রাসন চালিয়েছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী।