রিপোর্টে নিজেদের স্বাক্ষরাধিকার চায় ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্টরা

প্রকাশিত: ৩:১০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫

সাজ্জাদ হোসেন :

ল্যাবরেটরি ও রেডিওলজি রিপোর্টে স্বাক্ষরের অধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্টরা।

তাদের দাবি, ডাক্তার, বায়োকেমিস্ট ও টেকনোলজিস্টদের হাত ধরে দেশের ডায়াগনোস্টিক সেবা এগিয়ে যাচ্ছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তৈরি স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনে বলা হয়েছে, ‘সকল ল্যাবরেটরি ও রেডিওলজি রিপোর্টে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) রেজিস্টার্ড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্বাক্ষর থাকতে হবে।’ আইনের এই ধারাটি বায়োকেমিস্টদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসা বৈষম্যকে জিইয়ে রাখতে আরও সহায়ক হবে।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে (বিএমএ) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্ট আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।এসময় বক্তারা বলেন, অধ্যাদেশের তথ্যানুযায়ী ল্যাবরেটরির সব বিভাগে বিশেষজ্ঞ হিসেবে শুধুমাত্র চিকিৎসকরা স্বাক্ষর করতে পারবেন, আর কেউ নয়। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক, অগ্রহণযোগ্য ও অযৌক্তিক। এটি স্বাস্থ্য খাতে অশনি সংকেত ছাড়া কিছুই নয়। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ল্যাবরেটরি টেস্টের মানের অবনতি হবে। এর সংশোধন করতে হবে
ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্টরা জানান, এ ব্যাপারে কমিশনের কাছে দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হলেও কমিশন তাদের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এ অবস্থায় নিজেদের অধিকার আদায়ের বিষয়ে তারা শঙ্কিত।

এ সময় বিশ্বে বায়োকেমিস্টদের অবস্থান তুলে ধরে তারা বলেন, সারা বিশ্বে ল্যাবরেটরি খাতে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রেখে চিকিৎসক ও বায়োকেমিস্টরা পাশাপাশি কাজ করে আসছেন।

টেস্ট রিপোর্টে স্বাক্ষরের অধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আয়োজকরা বলেন, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মধ্যপ্রাচ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আমেরিকায় বায়োকেমিস্টরা রোগ নির্ণয়ের জন্য স্বীকৃত। একইসঙ্গে টেস্ট রিপোর্টে তাদের সিগনেটরি অথরিটি রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমাসহ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্টের নেতারা।