পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার গোলবুনীয়া ও জানখালী গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ২০০৭ সালে ভেঙে পড়া ওই সেতুটি নির্মাণ হয়নি এখনও। টানা ১৩ বছর ধরে এই ভেঙে পড়া অবকাঠামোতে বাঁশের সাঁকো ও সুপারি গাছ দিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, ২০০৭ সালের নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড় সিডরে গাছ উপড়ে সেতুটির ওপর পড়ে পাটাতন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে রড ও সিমেন্টের তৈরি (পাটাতন) স্ল্যাবগুলো ভেঙে যেতে থাকে। ১৩ বছর আগে সেতুটির স্ল্যাবগুলো ভেঙে যাওয়ায় সুপারিগাছ ও বাঁশ জোড়াতালি দিয়েছেন স্থানীয়রা মেরামত না হওয়ায় এভাবেই লোকজন চলাচল করে আসছে।
অথচ এই সেতুর উপর দিয়েই স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা নিতে আসে রোগীরা। তাছাড়া সেতু দিয়ে প্রতিদিন জানখালী উলুবাড়িয়া হামিদিয়া দাখিল মাদরাসা, জানখালী সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেতমোড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭৮ নম্বর জানখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। সেতুটির ওপর নির্ভরশীল সবমিলিয়ে প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ।
স্থানীয় কৃষক মো. সিদ্দিক মীর বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য জন প্রতিনিধিদের কাছে বারবার দাবি জানিয়ে আসছি। তবে কোনো ফল মেলেনি। ছাত্রছাত্রীরা চরম আতংক নিয়ে প্রতিদিন সেতু পার হয়। কৃষকরা ফসল ও গবাদি পশু পারাপারে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর আগে মঠবাড়িয়ার আমড়াগাছিয়া-বেতমোড় ইউনিয়নের সাংরাইল খালের ওপর লোহার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এ সেতুটির সাথে বেতমোড়,আমড়াগাছিয়া ও বড়মাছুয়া ইউনিয়নের অন্তত ৪০ গ্রামের মানুষের যাতায়াত নির্ভরশীল।
মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. জিয়ারুল ইসলাম সেতুতে জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, ৩০ বছর আগে সেতুটি উপজেলা পরিষদ নির্মাণ করে। স্থানীয় সরকারর প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রধান কার্যালয়ে আমরা জরাজীর্ণ সেতুর তালিকা করে প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। প্রকল্পটি অনুমোদন না হওয়ায় সেতুটি নির্মাণ করা যাচ্ছেনা। বরাদ্দ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।