শ ম রেজাউল-মন্নুজানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু

প্রকাশিত: ২:১৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অঢেল সম্পদ গড়ার অভিযোগে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এবং তার এপিএস (ছোট ভাই) মো. সাহাবুদ্দিনসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, প্রকল্পে অনিয়মসহ বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে পিরোজপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। ২০১৮ সালেও একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এছাড়া নিজ নামে বরিশালের নাজিরপুর, পিরোজপুর এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পদ রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে প্রাণী সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন নামক প্রকল্প এর আওতায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং প্রশিক্ষণের নামে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত ১টি গাড়ি, দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের তথ্যাদি দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজ নামে এবং তার পোষ্যবর্গের এবং আত্মীয়-স্বজনের নামে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছে মর্মে প্রাথমিকভাবে সঠিকতা পরিলক্ষিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অভিযোগটি প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য অনুমোদন করেছে দুদক।

অন্যদিকে মন্নুজান সুফিয়া ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে খুলনা-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের টিকেট পাননি। অভিযোগ আছে মন্নুজান তার এপিএস ছোটভাই মো. সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়, বোনের ছেলে ইয়াছির আরাফাত পৃথিবী ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এছাড়া নিজ নামে ঢাকার উত্তরায় ১০ নং সেক্টরে রাজউকের ৫ কাঠা জমি, সাহেববাড়ি রোড, মহেশ্বর পাশা, দৌলতপুর, খুলনা ৩ তলা বাড়ি, ২ টি গাড়ি, কেডিএ, মৌথুরী হাউজিং ১৬.০৭ কাঠা জমি কিনেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন নিয়োগ, পোস্টিং ও পদোন্নতির মাধ্যমে তার এপিএস ছোটভাই মো. সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়, বোনের ছেলে ইয়াছির আরাফাত পৃথিবী কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন।