
পটুয়াখালী প্রতিবেদক :
জুলাই আন্দোলনে এক শহীদের কলেজছাত্রী মেয়ে ধর্ষণের শিকারের পর আত্মহত্যা করেছেন। তার মরদেহ বাবার কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে পটুয়াখালীর পাংগাশিয়া ইউনিয়নে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে। ইতোমধ্যে শহীদ জসিম উদ্দিনের কবরের পাশে তার জন্য কবর খোঁড়ার কাজ চলছে। ময়নাতদন্তের পর তার মরদেহ পটুয়াখালীতে নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকার ৬নং রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ওই কিশোরীর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।মৃতের চাচা মো. কালাম হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের মেয়েটা অত্যন্ত সাহসী ছিল। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সে বুক চিতিয়ে লড়েছিল। কিন্তু বিচারহীনতার ভয়, সমাজের অবজ্ঞা ও মানসিক চাপ শেষ পর্যন্ত তাকে ঠেলে দিল মৃত্যুর দিকে। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করি এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালীর পাংগাশিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই কিশোরী। সাহসিকতার সঙ্গে তিনি নিজেই থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে দুমকি থানা পুলিশ অভিযুক্ত সাকিব ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর থেকেই তিনি গভীর মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। সামাজিক লজ্জা, অবহেলা এবং ন্যায়বিচার না পাওয়ার শঙ্কা তার মধ্যে চরম হতাশা তৈরি করে। সেই হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে পরিবারের ধারণা।
পটুয়াখালীর দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, ‘সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’