
সেলিনা আক্তার:
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কর্মচারীরা চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ কয়েকটি দাবিতে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়ার একদিনের মাথায় কাজে ফিরেছেন।
রোববার (৯ মার্চ) সরকারি অফিস সময়ের মধ্যেই আগারগাঁওয়ে বিএসইসির প্রধান কার্যালয়ে যোগ দিয়ে নিজ নিজ বিভাগে কাজ শুরু করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক এ সংস্থার সকল কর্মচারী। যথা সময়ে কমিশনে এসেছেন চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনার। যে যার কক্ষে দৈনন্দিন কাজ শুরু করেছেন।
দুই দিন উত্তপ্ত থাকা বিএসইসি কার্যালয় এখন ‘শান্ত’। মূল ফটক দিয়ে দর্শনার্থীরাও প্রবেশ করতে পারছেন।
গত বৃহস্পতিবার সবশেষ কর্মদিবসেও কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটির আহ্বায়ক ও পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসান ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিরাজ উস সুন্নাহ চারটি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ওইদিন বেলা ৩টার সময় আন্দোলন চলাকালেই কমিশনে প্রবেশ করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, সঙ্গে ছিলেন তিন কমিশনার। তারা সবাইকে কাজে ফেরার আহ্বান জানানোর পরেও কোন সমাধান ছাড়াই দিনটি শেষ হয়েছিল।
বিএসইসি চেয়ারম্যানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আশিকুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত বুধবার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের চার ঘণ্টা কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় বিএসইসির একাধিক নির্বাহী পরিচালকসহ ১৬ জনের নামে অভিযোগ করা হয় ওই মামলায়। তালিকায় বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সাইফুর রহমানসহ বর্তমানে কর্মরতদের নামও রয়েছে।
বিএসইসি গত মঙ্গলবার সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবিতে বুধবার চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে সেনা নিরাপত্তায় কমিশন সদস্যরা কার্যালয় ছাড়েন।
বৃহস্পতিবার কমিশনে গিয়ে ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক চুল ছাড় না দেওয়ার’ ঘোষণা দেন চেয়ারম্যান। এরপর রাতে মামলা হলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। কোনোরকম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই রোববার কাজে ফেরেন আন্দোলনকারীরা।
কমিশনের এখনকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে চেয়ারমান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, দুই সদস্য এবং বিএসইসির মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের সাড়া মেলেনি।
অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তিও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল রোববার বেলা ১১টায় বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, সিসিএ, সিডিবিএল, সিসিবিএল, বিএমবিএ এর প্রতিনিধিরাও আছেন ওই দলে।