শিখ নেতা নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে আরও এক সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ, মে ১২, ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ 

কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে পুলিশ। খবর এনডিটিভি।

কানাডার ব্রাম্পটন, সারে ও অ্যাবটসফোর্ড এলাকার বাসিন্দা অমরদীপ সিংকে (২২) চতুর্থ সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যা ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইন্টিগ্রেটেড হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন টিম (আইএইচআইটি) জানিয়েছে যে অমরদীপ সিংকে ১১ মে হরদীপ সিং হত্যায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অবশ্য তিনি অস্ত্র মামলায় আগে থেকেই কারাগারে ছিলেন।

এর আগে গত ৩ মে করণ ব্রার (২২), কমল প্রিত সিং (২২) ও করণ প্রিত সিং (২৮) নামের আরও তিন ভারতীয়কে একই মালমায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।গত বছরের ১৮ জুন কানাডার ভ্যানকুভার শহরের কাছে গুলি করে হত্যা করা হয় ৪৫ বছর বয়সী হরদীপ সিং নিজ্জরকে। ওই হত্যাকাণ্ডের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করে বলেন, এর পেছনে ভারত জড়িত থাকতে পারে। ট্রুডোর ওই অভিযোগের পর কানাডা ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন দেখা দেয়। হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টিও অস্বীকার করে নয়াদিল্লি।

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিজ্জর। তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন- এমন অভিযোগে তাকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়েছিল ভারত। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন নিজ্জরের সমর্থকেরা। তাদের ভাষ্য, খালিস্তান আন্দোলনের পক্ষে থাকায় একাধিকবার হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন নিজ্জর।

গত শতকের সত্তরের দশকে ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ শুরু করেন দেশটির শিখ সম্প্রদায়ের অনেকে। ওই বিদ্রোহের জেরে সে সময় হাজারো মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এরপরও কয়েক দশক ধরে ওই বিদ্রোহের রেশ থেকে যায়। বর্তমানে ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশে পাঞ্জাবে স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিখেরা।