শিশু নূরীর মা হাফসার জামিন স্থগিতাদেশ তুলে নিতে আবেদন

প্রকাশিত: ১১:২০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

২৮ অক্টোবর মহা-সমাবেশকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে নাশকতার মামলায় মানবন্ধনে কান্না করে আলোচনায় আসা শিশু নূরীর মা হাফসা আক্তারের জামিন স্থগিতাদেশ তুলে নিতে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ আবেদন করেছেন।

রোববার (৩১ মার্চ) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে এই আবেদনের ওপর শুনানি হবে।অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে গত ১০ মার্চ শিশু নূরীর মা হাফসা আক্তারের জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের আদালত এ আদেশ দেন।

আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।গত ৬ মার্চ হাফসা আক্তারকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।আদালতে সেদিন জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহিন আহমেদ খান।

এর আগে হাফসা আক্তারের জামিন চাইতে হাইকোর্টে আসে মায়ের মুক্তির জন্য মানববন্ধন করে আলোচনায় আসা চার বছরের শিশু নুরজাহান নূরী।গত ৪ মার্চ বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।এর আগে গত বছরের ২৩ নভেম্বর পত্রিকায় ‘নূরীর কান্নার জবাব নাই’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কেউ এসেছেন কোলের শিশু নিয়ে, কেউ এসেছেন অবুঝ সন্তান নিয়ে, আবার কেউ নাতি-নাতনি নিয়ে। বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী, ভাই-বোনরাও এসেছেন। তাদের কারও চোখে পানি, কারও হাতে প্ল্যাকার্ড, কারও হাতে ব্যানার। প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে স্বজনদের মুক্তি দাবি করেছেন তারা।

রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে দাদা-দাদির হাত ধরে আসে দুই অবুঝ শিশু বর্ষা ও নূরী। মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে কারাবন্দি মায়ের জন্য মুক্তি দাবি করে এই দুই শিশুকন্যা। শিশু বর্ষা মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বলে, আমার মাকে ছেড়ে দেন। আমার পরীক্ষা। আমি মাকে ছাড়া স্কুলে যেতে পারি না।

সেদিন তিন ছেলের গ্রেপ্তারের বর্ণনা দিয়ে পিতা আব্দুল হাই বলেন, আমার তিন সন্তানকে কারান্তরীণ করা হয়েছে। এক ছেলেকে ১০ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে। বড় ছেলেকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে পুত্রবধূকে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে পুলিশ। অথচ, আমার ছেলের বউ রাজনীতিতে জড়িত নন।