শিশু মায়মুনা হত্যা মামলায় সৎমায়ের মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ৮:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধলপুর হাসনাহেনা লেন এলাকায় শিশু মায়মুনা (৬) হত্যায় বিচারিক (নিম্ন) আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সৎমা সুমাইয়া ইসলাম শারমিনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিশ্চিতকরণের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এদিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাজমুস সাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ। তার সঙ্গে ছিলেন- সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আকতার হোসেন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদা পারভীন ফ্লোরা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম নূর নবী।
২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক শামীম আহাম্মদ আসামি সুমাইয়া ইসলাম শারমিনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং শারমিন আপিল আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে এই রায় দেন উচ্চ আদালত।
মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন। ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর রাজ্জাক তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর যান। পরদিন ১০ অক্টোবর তিনি খবর পান মায়মুনার মরদেহ বাথরুমের ড্রামে পাওয়া গেছে। তিনি দ্রুত ঢাকা আসেন। বাসায় এসে বাম হাতের কবজি ভাঙা, ডান পায়ের গিরার ওপর কামড়ের দাগ ও ঘাড় মটকানো অবস্থায় মায়মুনাকে দেখতে পান।
বাদীর মা ফুলজান বিবি রাজ্জাককে জানান, ঘটনার দিন রাতে শারমিন মায়মুনাকে তার কাছে ঘুমাতে নিয়ে যান। পরদিন সকালে ফুলজান বিবি শারমিনের রুমে মায়মুনাকে দেখতে না পেয়ে বাথরুমের পানির ড্রামের ভেতর মাথা নিচের দিকে ও পা ওপরের দিকে থাকা অবস্থায় মায়মুনাকে দেখতে পান। এ ঘটনায় ১০ অক্টোবর রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।