শিরীন আহমেদ এমপির শুভ জন্মদিন

প্রকাশিত: ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২৩

জাহাঙ্গীর আলম :

সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, নারী উন্নয়ন বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন কমিটির সদস্য, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, শিরীন আহমেদ এমপির শুভ জন্মদিন। ২রা আগস্ট রোজ বুধবার শুভ জন্মদিন উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জন্য দিন পালন করেছেন নিজ বাস ভবনে। তাহার জন্মদিন উপলক্ষে তাহার একমাত্র ছেলে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ কেন্দ্রীয় কার্য্য-নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব তামজীদ বিন রহমান তূর্য দেশ বাসির কাছে দোয়া চেয়েছেন।  তিনি যেন সুস্থ থেকে তাহার নিজ আসনের জনগণের পাশে থেকে সেবা করতে পারেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পাশে থেকে তাহার হাতকে শক্তিশালী করতে পারেন।

শিরীন আহমেদ এমপির শুভ জন্মদিন

তাহার জন্মদিন উপলক্ষে, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটি সভাপতি ও পূবালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন (সিবিএ) সেক্রেটারী জেনারেল এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ পোস্ট বিডি ডটকমের সম্পাদক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম এক বানীতে বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য শীরিন আহমেদ একজন দক্ষ সংগঠক হিসবে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠনকে সম্মেলনে মাধ্যমে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মর্যাদা এনেছেন।

শিরীন আহমেদ এমপির শুভ জন্মদিন

তাহার দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে আজ বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ প্রত্যেকটা নগর, মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তীর্ণ হয়েছেন। ওনার সুযোগ্য পুত্র বর্তমান বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ কেন্দ্রীয় কার্য্য-নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব তামজীদ বিন রহমান তূর্য সঠিক নেতৃত্বে মাধ্যমে সংগঠনকে এগিয়ে নিচ্ছেন  দুর্বার গতিতে।

শিরীন আহমেদ এমপির শুভ জন্মদিন

তিনি প্রত্যেকটা নগর, মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত কমিটি করার জন্য সাবেক ছাত্র লীগের কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন করার ইচ্ছে পোষন করেছন। যাতে করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশস্ত ভ্যান গার্ড হিসেবে পাশে থাকতে পারেন। যেমনটা তাহার শ্রদ্ধেয় পিতা মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখসমরের সাহসী গ্রুপ কমান্ডার, বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কর্মকর্তা, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাশে ছিলেন।

উল্লেখ্য, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের শুরু ১৯৬২ সালে বরিশালের আসমত আলী খান হাইস্কুল ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হিসাবে। এ সময় তিনি ‘হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন আন্দোলন’ করে গ্রেফতার হন। ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলনে গ্রেফতার হন। ১৯৬৯ সালে ১১ দফা আদায়ের গণ-অভ্যুত্থানে সান্ধ্য আইন ভঙ্গের দায়ে গ্রেফতার হন। ১৯৭০ সালে নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ধানমন্ডিতে হানাদারদের প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। এপ্রিলে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের আগরতলায় পৌঁছান। মুক্তিযুদ্ধে ২নং সেক্টরের মেলাঘর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং ১৭নং প্লাটুনের টু আইসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকার উত্তরে অপারেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত গ্রুপ কমান্ডার হিসাবে মোহাম্মদপুর, রায়েরবাজার, কল্যাণপুর ব্রিজ, মিরপুর ব্রিজ, সোলাটেংলার রাজাকার ক্যাম্প, গ্রিনরোড রেডিও অফিস, ভূতের গলি, গোপীবাগ, রামপুরা, ধানমন্ডি ওয়াপদা সাবস্টেশনসহ বহু সফল অপারেশনে নেতৃত্ব দেন তিনি। উল্লেখ্য, ঢাকার অপারেশনগুলো মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ক্র্যাক প্লাটুন এবং আব্দুল আজিজের প্লাটুনের সমন্বয়ে পরিচালিত হতো। ১৬ ডিসেম্বর সকালে শাহবাগস্থ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রেডিও অফিস দখলে নেওয়ার জন্য বজলুর রহমানের নেতৃত্বাধীন গ্রুপটিই প্রথম আক্রমণ পরিচালনা করে। উভয় পক্ষে ব্যাপক গুলিবিনিময় হলে বজলুর রহমানের একজন সহযোদ্ধা নিহত হন। তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মাকভাবে আহত হন।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা (রাজনৈতিক) হিসাবে নিয়োগ পান। ১৯৭২-৭৩ সালে ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে ওই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হন। ১৯৭৫ সালের কালরাত্রিতে গোলাগুলির শব্দে দৌড়ে ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কারফিউ থাকায় যাওয়ার সাধ্য হয়নি। পরদিন সান্ধ্য আইন এক ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হলে তিনি বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যান, যার সাক্ষী ছিলেন শেখ কবির এবং ডিএসপি ইউসুফ সাহেব। পরে বজলু সাহেবকে জিগাতলার বাসা থেকে তার সহযোগী অসিত সরকার সজল ও মানু মজুমদারসহ (বর্তমানে এমপি) গ্রেফতার করা হয়। আটকের পর তাদের ধানমন্ডি থানায় রাখা হয় ১৭ দিন, তারপর নিয়ে যাওয়া হয় ক্যান্টনমেন্টে। নির্যাতনে প্রায় পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ছয় মাস হাঁটতে পারেননি। তাদের বিচার শুরু হয় ১নং বিশেষ সামরিক আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে। বিচারে মো. বজলুর রহমান ও তার দুই সঙ্গীকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এটি ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে ঘোষিত প্রথম ফাঁসির দণ্ডাদেশ। ৯ বছর কারাভোগের পর জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে ১৯৮৫ সালের ১৯ জুন তিনি মুক্তিলাভ করেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায়ও তিনি আহত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর তিনি ইন্তেকাল করেন।

NewsPostbd  Bangla_Latest_News

আরও পড়ুন 

ক্যাম্পাস       অর্থনীতি      খেলাধুলা