শেখ হাসিনার বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার পেছনে ড. ওয়াজেদ মিয়ার বড় ভূমিকা ছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৪:১৫ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২৪

মোঃ সাইফুল ইসলামঃ 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার পেছনে ড. ওয়াজেদ মিয়ার বড় ভূমিকা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি- সাপ্তাহিক গণবাংলা।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি সেটির অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিজ্ঞানমনস্কতা। ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞানী হওয়ার কারণে শেখ হাসিনাও বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে ওঠেন। সেকারণেই প্রধানমন্ত্রীর সব সময় গবেষণার ওপরে জোর দেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবার একটি বিজ্ঞানমনস্ক পরিবার। জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং এই পরিবারের বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার পেছনে ড. ওয়াজেদ মিয়ার বড় ভূমিকা ছিল। সে কারণেই সজীব ওয়াজেদ জয় আজ আইসিটি বিশেষজ্ঞ। সজীব ওয়াজেদ জয়ের ধারণাতেই বাংলাদেশ আজ আইসিটিতে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে তারা তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। ড. ওয়াজেদ মিয়া যখন পরমাণু বিজ্ঞানী ছিলেন, তার জ্যেষ্ঠ সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হয়েছেন। সজীব ওয়াজেদ জয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। এরপর, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল মনোবিজ্ঞানের ওপর পিএইচডি করেছেন। ওয়াজেদ মিয়া এবং শেখ হাসিনা তাদের সন্তানেরদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার কারণেই এতকিছু অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিচারণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া একজন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ৭৫ এর পরে শেখ রেহানা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগলে রাখার ক্ষেত্রে তার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সেই বিধ্বস্ত অবস্থায় অসীম সাহস এবং ধৈর্য না থাকলে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাকে আগলে রাখা এত সহজ হতো না।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য লায়ন মশিউর আহমেদের সভাপতিত্বে এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আ.লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. বলরাম পোদ্দার, আ.লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।